প্রতিবেদন : শিল্প সম্মেলন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে জুড়ল নয়া পালক। শুধু কথা নয়, সময় বেঁধে দ্রুত গতিতে কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলা যে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, ফের প্রমাণিত হল। তৈরি হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম দই উৎপাদন কেন্দ্র। ৬০০ কোটি টাকার এই বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্রটি তৈরি হবে হাওড়ার সাঁকরাইল ফুড পার্কে। আমূলের নিয়ন্ত্রক দুগ্ধ সমবায়, গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন বা জিসিএমএমএফ এই দই উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে। অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন চলাকালীন ওই সংস্থার সঙ্গে রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা যে বদলে গিয়েছে এই মেগা প্রকল্পের ঘোষণা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। এর পর কী বলবে বিরোধীরা? শনিবার সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়েন মেহতা জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে প্রতিদিন ১৫ লক্ষ লিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন এই ইউনিট গড়ে তুলতে খরচ হবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এই ইউনিটে প্রতিদিন ১০ লক্ষ কেজি দই উৎপাদন হবে। বর্তমানে রাজ্যে তাঁদের ১০ লক্ষ লিটারের বেশি দুধ বিক্রি হয়। রাজ্যের ১৪টি জেলার প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মহিলাকে নিয়ে কাঁচামাল সংগ্রহের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন তাঁরা। হাওড়ায় নতুন ইউনিট গড়ে ওঠার ফলে এই নেটওয়ার্ক আরও মজবুত হবে বলেই ধারণা।
আরও পড়ুন-পিএইচএ-র কাজ শুরু
বাংলায় এই মেগা প্রকল্পের খবর সামনে আসতেই সাড়া পড়ে গিয়েছে দেশের শিল্প মহলে। জোর চর্চা শুরু হয়েছে এই প্রকল্প নিয়ে। একইসঙ্গে যে বিরোধীরা শিল্প সম্মেলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তাদের মুখেও কার্যত ঝামা ঘষে দিয়েছে এই মেগা দই প্রকল্পের খবর।