শনিবার রাতে নারকেলডাঙা (Narkeldanga) বস্তিতে আগুন লাগে। প্রায় ২০০ ঘরের বস্তির মধ্যে ৩০টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন এসে আগুন সামাল দেয়। ভোর- রাতে আগুন নিভে যায়। তবে নারকেলডাঙার অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। সকালে ঝুপড়ির ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছিল। মৃতের নাম হাবিবুল্লা মোল্লা (৫৫)। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ঝুপড়িতে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। আগুন লাগার পর ঘর থেকে বেরোনোর সুযোগ পাননি তিনি।
আগুন লাগার খবর পেয়ে নারকেলডাঙায় পৌঁছয় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন যখন নিয়ন্ত্রণে আসে তখন রাত ২টো ১০ মিনিটে। আগুন নিভে গেলেও আজ রবিবার সকালেও এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে। বস্তির বাসিন্দারা প্রায় সকলে আশ্রয়হীন। মৃত ব্যক্তির বাড়ির চারপাশ ব্যারিকেড করে ঘিরে দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-ঘোষণার তিন দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর সিনার্জি কমিটি
ঠিক কী কারণে এদিন আগুন লাগল, সেই বিষয়টি যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। দমকলের তরফে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। এর ফলেই আগুন এত দ্রুত বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।