স্কুলছাত্রীর ব্যাগে প্রেগন্যান্সি কিট (Pregnancy kit) দেখে হঠাৎ সন্দেহ হয় বাড়ির লোকের। তারা নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। কিছু পরেই ভেঙে পড়ে কিশোরী। তখনই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।সে জানায়,স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে ধর্ষণ করেছে এক টোটোচালক। জলপাইগুড়ি সদর ব্লক এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন-সর্বনিম্ন! রাজধানীতে ১০ শতাংশের নীচে মহিলা বিধায়কের সংখ্যা
জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত টোটোচালক। পুলিশ অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত টোটোচালক এলাকারই বাসিন্দা। মাঝেমধ্যেই কিশোরীকে স্কুলে নিয়ে যেত টোটো করে। শনিবার ওই ছাত্রীর স্কুলের ব্যাগে প্রেগনেন্সি কিট পাওয়া যায়। জিজ্ঞসাবাদে কিশোরী জানায়, সপ্তাহদুয়েক আগে ওই টোটোচালক মেয়েটিকে তিস্তা বাঁধ এলাকায় পার্কে নিয়ে যায়। চকোলেট খাওয়ায়। চকোলেট খাওয়ার পরে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। সেই সুযোগে ধর্ষণ করা হয়। কিশোরীর দাবি, কাউকে একথা বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট বাড়িতে পাঠায় অভিযুক্ত।ওই কিটই কিশোরীর পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে জানতে পারে সমস্ত ঘটনা।