প্রতিবেদন : আন্দোলনের নামে ফের একবার বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা বাম-অতিবাম নাটকবাজদের। কী আবদার! একটা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রতিবাদ মিছিল করতে দিতে হবে! কেন্দ্রীয় বাহিনীও মানল না ওদের মামাবাড়ির আবদার। কেন্দ্রীয় বাহিনীই ঢুকতে বাধা দিল। তৃণমূল প্রশ্ন তুলল, কেন আবার নাটক? অভয়া মঞ্চের নামে আরজি করে অনেক বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আর নয়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর প্রতিবাদের নামে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিষেবাকে শিকেয় তুলে তথাকথিত আন্দোলনকারী কতিপয় চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর পয়সা লুটেছেন। এখন আবার তাঁরা চেষ্টা করছেন কীভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যায়। কিছু বাম, অতিবাম রাজনৈতিক নেতার আবদার, আরজি কর হাসপাতালে তাঁরা ঢুকতে চান মিছিল করে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এ-প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানান, এই মিছিলকারীদের মধ্যে ডাক্তার কম, কমরেড-রামরেড বেশি। তাঁরা মামার বাড়ির আবদার করছেন আরজি করের ভেতরে সবাইকে ঢুকতে দিতে হবে! তাঁরা নাকি প্রোগ্রাম করবেন। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, এভাবে বহিরাগতরা হাসপাতালে ঢুকতে পারে না। ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল হাসপাতালে, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীও বাধা দিচ্ছে নাটকবাজদের। এখন আবার তা নিয়েও নাটক করছে। আরএসএস, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সবাইকে ঢুকতে দিতে হবে? তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, আরজি করে যে চিকিৎসকদের মিছিল হচ্ছে, তাতে ক’জন চিকিৎসক আছেন? কয়েকজন নকশাল নেতা বড় বড় কথা বলছেন। বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে না দিয়ে ঠিক কাজ করেছে। হাসপাতালে ঢুকতে না পেরে বিচারের দাবি তুলে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন তাঁরা। আরজি করে সুবিচার চেয়ে এসেছে রাজ্য, রাজ্যের পুলিশের তদন্তেই সায় দিয়েছে সিবিআই। রাজ্য পুলিশই গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্তকে। তাকে সাজা দিয়েছে আদালত। সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়ার গাফিলতিতে সর্বোচ্চ সাজা পায়নি দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাই। রাজ্য সরকার বলছে, সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি চাই, ওরা বলছে, না ফাঁসি চাই না। প্রতারণা করছে মানুষের সঙ্গে। মানুষের আবেগ নিয়ে কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।