প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় তৈরি মণ্ডপ। বইমেলায় সেরার সেরার স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিল জাগোবাংলা। বেস্ট সেলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই। শেষদিনেও মুখ্যমন্ত্রীর বই কিনতে জনজোয়ার বইমেলার জাগোবাংলা স্টলে। শুধু বাংলা নয়, ভিনরাজ্য থেকেও জাগোবাংলা স্টলে ভিড় জমিয়েছিলেন বইপ্রেমীরা। এমনকী সুদূর ইজরায়েল থেকেও বইপ্রেমী এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বই সংগ্রহে।
আরও পড়ুন-বহিরাগত নিয়ে আরজি করে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা রাম-বাম-অতিবাম নাটকবাজদের
শেষদিনে রেকর্ড ভিড়। সবাই উলটে দেখতে চায় বইয়ের মলাট, প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহ করতে তৎপরতা। নতুন ছাপার গন্ধ আর ব্যাগের মধ্যে তা ভরে নেওয়ার অনাবিল আনন্দ। সফল বইমেলার শেষদিনে এটা যদি সার্বিক চিত্র হয়, তাহলে সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নিঃসন্দেহে জাগোবাংলা স্টল। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় তৈরি এই স্টল সেজে উঠেছিল গ্রাম বাংলার থিমে। মাটির বাড়ি, গাছগাছালি আর সেখানে কুলুঙ্গিতে বই সাজানো থরে থরে। সেখানেই মনের শান্তি, প্রাণের আরাম। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বইয়ের টানে হাজির ইজরায়েলের ইয়াহাফ। সংগ্রহ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা মাদারল্যান্ড বইটি। প্রমাণিত লেখক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাহিদা দেশের চৌহদ্দি পেরিয়ে বহুদূর বিস্তৃত। ইয়াহাফকে বই বিক্রি করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বইয়ের আগ্রহী ক্রেতাকে এরপর তৃণমূল নেতৃত্ব ডেকে নেয় পাশেই ছোট্ট আড্ডা মঞ্চে। সাংসদ দোলা সেনের উদ্যোগে সুসজ্জিত সেই মঞ্চে বসে লেখকদের আড্ডা। সেখানই ইয়াহাফের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা। সেইসময় হাজির গিল্ডের সুধাংশুশেখর দে। আসেন উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। তিনি এক ব্যাগ বই নেন নেত্রীর লেখা। মঞ্চের অন্য পাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চ। সেখানে গান গাইলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিকের স্ত্রী নূতন ভৌমিক। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতারা গাইলেন জয়ী ব্যান্ডের গান। প্রতি সন্ধ্যার আকর্ষণ ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান। শিল্পীদের গান শোনা আর তার সঙ্গে বইয়ের অক্ষরে ডুবে থাকা জাগোবাংলা স্টলকে সেরার শিরোপা এনে দিয়েছে।
আর সবকিছুর ঊর্ধ্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বইমেলার ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট। বইপ্রেমিকদের মূল আকর্ষণ তাঁর বই। দুই ব্যাগ মমতা ইতিমধ্যেই শেষ। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর দেড় শতাধিক বই এবার মেলায়। পাঠকরা কিনেছেন ভিড় করে। বিপুল চাহিদা। স্টলে বই জোগান দিতে না দিতেই শেষ। এদিনও চার ব্যাগ বই আনা হয়, মুহূর্তে তা নিঃশেষিত। চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সব বই। স্টলের কেন্দ্রবিন্দু সাংসদ দোলা সেন বলেন, সকালেই পাবলিশার্সদের বলে দিদির আরও বই আনতে হয়েছে। অন্তত চার বস্তা। আবালবৃদ্ধবনিতার ভিড়। এবার যেন আরও বেশি। শেষ দিনে পা রাখা দায়। সকালে আনা বইও শেষ সন্ধ্যার মধ্যেই। অভাবনীয়! বইমেলা এবারও মমতাময়। তাঁর লেখা বইয়ের চাহিদা আকাশচুম্বী। এবারও সেরা! ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।