মোমোর মধ্যে লুকিয়ে আছে ৬০০ বছরের পুরনো ইতিহাস

পাহাড়ের রানি দার্জিলিং মানেই পর্যটকদের কাছে এক অন্যরকম অনুভূতি, আর দার্জিলিং মানে নেপালি জনজাতির হাতের তৈরি বিখ্যাত মোমো

Must read

সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পাহাড়ের রানি দার্জিলিং মানেই পর্যটকদের কাছে এক অন্যরকম অনুভূতি, আর দার্জিলিং মানে নেপালি জনজাতির হাতের তৈরি বিখ্যাত মোমো। মোমোর সঙ্গে জুড়ে আছে ৬০০ বছরের ঐতিহ্য, ভালবাসা এবং আবেগ। নেপালে মোমোর জন্ম। মোমোর ইতিহাস খুঁড়তে গেলে যেতে হবে চতুর্দশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। একেবারে প্রথমে মোমো ছিল কাঠমান্ডু উপত্যকার খাবার। পরবর্তীতে তিব্বত, চিন, কোরিয়া এবং জাপান পর্যন্ত এই মোমো ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন-আজ বিধানসভার অধিবেশন শুরু

তবে অনেকে বলেন, মোমোর শিকড় নেপাল, তিব্বত এবং ভুটানে। মাংস, চিংড়ি, শাকসবজি বা তোফুর পুরভরা এই খাবার চিনা খাদ্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, মোমো হচ্ছে তিব্বতি শব্দ ‘মগ মগ’-এর কথ্য রূপ। হতেও পারে এই তিব্বতি শব্দটি চিনা শব্দ মোমো থেকেই আসলে ধার করা। উত্তর-পশ্চিম চিনা উপভাষায় গমের সেদ্ধ রুটিকে বলা হয় মোমো। মোমো মাউন্ট এভারেস্টের মতোই নেপালের অন্যতম প্রতীক। নেপালের সীমা ছাড়িয়ে মোমোর জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বব্যাপী। আদি মোমোর সঙ্গে ইদানীংকালের মোমোর ফারাক রয়েছে অবশ্য। এখন মোমো হচ্ছে এক ধরনের দক্ষিণ এশিয় ডাম্পলিং। মোমো মূলত সবজি বা মাংসের পুর ভরা ময়দার গোলা। সেদ্ধ বা বাষ্পে রান্না করা হলেও কালে কালে ফ্রায়েড মোমো জনপ্রিয় হয়েছে।

Latest article