প্রতিবেদন: পার্লহারবারের রক্তাক্ত স্মৃতি অতীত। জাপান এখন আমেরিকার বন্ধু। চিনের সঙ্গে মসৃণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক যে রাখতে চান না তা উচ্চহারে চিনা পণ্যে শুল্ক আরোপের কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিধর চিনকে রুখতে এবার পাল্টা জাপানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি চিন, কানাডা, মেক্সিকোর উপর শুল্ক চাপিয়ে বার্তা স্পষ্ট করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার আরও কিছু দেশের উপর শুল্ক লাগু করার বার্তাও দিয়েছেন ট্রাম্প। তারই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক পদক্ষেপ জাপানের সঙ্গে। একদিকে নিজের পুরনো আপত্তি ঝেড়ে ফেলা, অন্যদিকে জাপানকে আমেরিকায় লগ্নির অনুরোধ সেরে রাখলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার আমেরিকা সফরে। ইউএস স্টিল জাপানের নিপ্পন স্টিলের কিনে নেওয়া নিয়ে আগে বিরোধিতার সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার সেই আপত্তিও তুলে নিলেন তিনি। যদিও তাঁর দাবি, ইউএস স্টিল কিনে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে আমেরিকায় লগ্নি শুরু করেছে জাপান। এরপর জাপানকে আমেরিকার জ্বালানি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন-ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার ভয়েই ইস্তফা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে প্রথমবার হোয়াইট হাউস গিয়ে উচ্ছ্বসিত জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা। তাঁর দাবি, ট্রাম্পকে বাইরে থেকে যেরকম ‘ক্রুদ্ধ’ মনে হয় তিনি আদতে তেমন নন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে চিনের সামরিক নীতির সমালোচনা উঠে আসে। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের প্রতিপত্তি বাড়ানো নিয়ে নিন্দা করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই। আমেরিকায় জাপানের লগ্নির পাশাপাশি জাপানও আমেরিকা থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, ইথানল কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে আমেরিকার সব সমীকরণই বদলে ফেলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের শত্রু জাপান এখন চিন মোকাবিলায় ত্রাতা। আর সেই পথে পুরনো প্রশাসকদের কোনওভাবেই নাক গলাতে দেবেন না তিনি, সেটাও স্পষ্ট করে দিলেন। সেই উদ্দেশে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের দৈনিক সামরিক গোয়েন্দা দফতরের তথ্য পাওয়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছেন তিনি।