২০২৬-এ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে আমরাই ক্ষমতায় ফিরব:মুখ্যমন্ত্রী

দিল্লি-হরিয়ানায় বিরোধী ভোট ভাগের দায় আপ-কংগ্রেসের

Must read

প্রতিবেদন : ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় ফের ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার, বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, বাংলায় তৃণমূলের কারও প্রয়োজন নেই। এখানে একা লড়েই ফের ক্ষমতায় আসবে দল। এখন থেকেই মানুষের কাছে গিয়ে আরও বেশি করে তাঁদের সুখ-দুঃখের শরিক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এই বৈঠকে। সোমবার থেকেই শুরু হল রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তার আগে বিধানসভায় নৌশর আলি কক্ষে তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে পরিষদীয় দলকে একাধিক বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। এই বৈঠকে ঢোকার মুখেই প্রত্যেক বিধায়ককে নেত্রীর লেখা লিপিবদ্ধ কিছু কথা বইটি দেওয়া হয়। এটি এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের এখনও একবছর বাকি। তার আগেই পরিষদীয় দলের বৈঠকে নেত্রীর এই আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা নিশ্চিতভাবে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে তুলবে। বিরোধীদের কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না তৃণমূল কংগ্রেস। সদ্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই ফলাফল আমাদের এখানে প্রভাব ফেলবে না। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল আছে থাকবে। দিল্লিতে আপের হারা নিয়ে তিনি বলেন, হরিয়ানাতে কংগ্রেসকে আপ সহযোগিতা করলে এবং দিল্লিতে আপকে কংগ্রেস সহযোগিতা করলে, কংগ্রেস ও আপের পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে এই ফলাফল হত না। এখানেই বাংলার নির্বাচনী প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এখানে কংগ্রেসের কিছু নেই। তুমি কংগ্রেস এখানে একাই লড়বে। রাজ্য সরকারের প্রধান মুখ হিসেবে রাজ্যবাসীর কল্যাণের জন্য প্রায় ৯২টি সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে উপকৃত হয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কেন্দ্রের বঞ্চনার পাল্টা প্রতিবাদ হিসেবে বাংলার বাড়ি, ১০০ দিনের কাজের টাকা— সবই দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বাংলাকে ভাতে মারার জন্য বঙ্গবিজেপির নেতৃত্ব যেভাবে দিল্লিতে দরবার করেছে এবং সেকথা শুনে দিল্লি টাকা বন্ধ করেছে। তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। পাল্টা জবাবে রাজ্য সরকার এবং দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা সংগ্রামে ব্রতী হয়েছে। আগামী দিনেও সেই সংগ্রাম জারি থাকবে। রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পে যাতে কোনও ছেদ না পড়ে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারের টান সত্ত্বেও সেদিকে নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ কতকগুলি নির্বাচনে বিজেপিকে পরপর হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সব ভোট করানোর পরেও এখানে দাঁত ফোঁটাতে পারেনি বিজেপি ও বাকি দলগুলি। বাংলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছে, তাদের ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিল আছে থাকবে। বাংলার মানুষের এই সীমাহীন ভালবাসা ও প্রবল আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছে বিধানসভায় বৈঠকে।

Latest article