প্রতিবেদন : জলাভূমি এবং ভূমিধসপ্রবণ এলাকাগুলির মতো ভূখণ্ড, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) থেকে আপত্তি, সীমিত কাজের মরশুম এবং জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে স্থল-সীমান্তে আংশিকভাবে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীপক অধিকারীর (দেব) এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাথে স্থল-সীমান্তে বেড়া দ্বারা আচ্ছাদিত নয় এমন এলাকার মোট দৈর্ঘ্যের বিবরণ এবং স্থল সীমান্তে বেড়া না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে। এর উত্তরে মোদি সরকার স্বীকার করে নিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অপারগতার কথা। কেন্দ্রের বক্তব্যেই স্পষ্ট, সীমান্তে বেড়া না দেওয়ার ব্যর্থতার দায় বিজেপি সরকারেরই।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে ১৩ নামী সংস্থার ৫.২৫ কোটির লেটার্স অফ ইনটেন্ট স্বাক্ষর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৪০৯৬.৭০ কিমি। বাংলাদেশের সাথে স্থল-সীমান্ত ভাগ করা রাজ্যগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ (২২১৬.৭ কিমি), অসম (২৬৩ কিমি), মেঘালয় (৪৪৩ কিমি), ত্রিপুরা (৮৫৬ কিমি) এবং মিজোরাম (৩১৮ কিমি)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮৬৪.৪৮২ কিমি দৈর্ঘ্য এলাকায় এখনও বেড়া দেওয়া বাকি রয়েছে
১৭৪.৫১৪ কিমি দৈর্ঘ্য এলাকায়। কেন্দ্রের সাফাই, সেখানে বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না জলাভূমি এবং ভূমিধসপ্রবণতার কারণে। অর্থাৎ এই দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা পুরোপুরি অসুরক্ষিত।