প্রত্যাশাই সাফল্য

‘তুমি যা আশা করো তাই হও’। কথাটা খুব সত্যি। নিজের এবং অপরের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা যত দৃঢ় এবং পজিটিভ হবে ঠিক সেটাই আমরা ফিরে পাব। অসম্ভবও হবে সম্ভব। একে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন পিগম্যালিয়ন এফেক্ট বা প্রভাব। এই নিয়ে হয়েছে বিস্তর গবেষণাও। পিগম্যালিয়ন প্রভাব কীভাবে আমূল বদলে দেয় জীবন সেই আলোচনায় শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

ক্রমাগত টার্গেট ফুলফিল করার চাপ নিতে নিতে ইদানীং অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছে মনীষা। কর্পোরেট অফিস কি আর তা মেনে নেবে কখনও। ঊর্ধ্বতন চটে লাল। দিনে দিনে কর্মক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের ডাউনফল। নিচে নামছে ওর কেরিয়ার গ্রাফ। কিন্তু এটাই তো বয়স কিছু করে দেখানোর অথচ মনীষা পারছে না, হোঁটচ খাচ্ছে পদে পদে। প্রত্যেকদিন মন ভার করে বাড়ি ফেরে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল মনীষার মায়ের— তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশার অন্ত নেই। বসের গালাগাল খেয়েছে শুনেও মা খালি বলে, ‘আমি জানি তুই এক না একদিন ঠিক তোর লক্ষ্যে পৌঁছবি’। সারাদিন একশো গন্ডা নেগেটিভ মন্তব্য শোনার পর মায়ের ওই একটা পজিটিভ কথা, মায়ের তাঁর প্রতি উচ্চ প্রত্যাশা মনীষার মধ্যেও প্রত্যাশা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাড়িয়ে তোলে, মনীষাকে উদ্বুদ্ধ করে। সে আবার নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে উঠে-পড়ে লাগে। আসলে একশোটা খারাপ কথা যখন আত্মবিশ্বাসের গোড়ায় হাতুড়ি মেরে দুমড়েমুচড়ে দিতে চায় তখন একটা আশার কথা, একটা অনুপ্রেরণা যে কোনও মানুষকে উন্নতির পথে, সাফল্যের পথে অনেকদূর এগিয়ে দেয়।
অনেক বড় বড় মেন্টর, ইনফ্লুয়েন্সার, জ্যোতিষী, বিশেষজ্ঞদের এটা বলতে শোনা যায় নিজের প্রতি বা অন্যের প্রতি প্রত্যাশা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখলে সেও নাকি উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয় এবং সাফল্যের সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছয়। এই বিষয়টার একটা বেশ সাজানো-গোছানো নাম রয়েছে। মনোবিদরা একে বলছেন পিগম্যালিয়ন এফেক্ট বা পিগম্যালিয়ন প্রভাব (Pygmalion effect)।

পিগম্যালিয়ন প্রভাবের উৎপত্তি
পিগম্যালিয়ন প্রভাব (Pygmalion effect) শব্দবন্ধটির উৎপত্তি নিয়ে একটা খুব সুন্দর গল্প রয়েছে গ্রিক পুরাণে। সাইপ্রাসের রাজা পিগম্যালিয়ন ছিলেন দক্ষ ভাস্কর। তিনি তাঁর রিয়্যালিস্টিক আর্টের জন্য বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর খোদাই করা এক একটি মূর্তি হয়ে উঠত নিদর্শন। একবার একটি নারীর মূর্তি খোদাই শুরু করলেন পিগম্যালিয়ন এবং সেটা গড়তে গিয়ে নিমগ্ন হয়ে পড়লেন। তাঁর সেই খোদাই-করা নারীমূর্তি অপরূপ সুন্দর আকার পেল। সেই মূর্তির রূপ দেখে তাঁর প্রেমে পড়ে গেলেন পিগম্যালিয়ন। তিনি সেই মূর্তির নাম দিলেন গালাশিয়া। গালাশিয়ার প্রতি সেই প্রেম এতটাই গভীর হল যে নিজের সর্বস্ব তাঁকেই সমর্পণ করে ফেলেন। গালাশিয়া ছিল তাঁর চোখে আদর্শ নারী। তার প্রতি প্রেমের গভীরতা এতটাই ছিল যে হঠাৎ একদিন গালাশিয়া জীবন্ত হয়ে উঠল। এই কাহিনি নিয়ে মতান্তরও রয়েছে কারও কারও মতে তিনি গালাশিয়ার প্রাণদানের জন্য গ্রিক দেবী ভেনাসের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। দেবী তখন তুষ্ট হয়ে সেই মূর্তিতে প্রাণ দান করেন। তখন সেই মূর্তি এক জীবন্ত নারীরূপ ধারণ করে। অবশেষে তাঁদের মিলন হয়। সেই থেকে গালাশিয়া পিগম্যালিয়নের সঙ্গে তার প্রেমিকা রূপে থাকতে শুরু করল। এই পিগম্যালিয়নের নামেই পরবর্তীতে চালু হল পিগম্যালিয়ন এফেক্ট বা পিগম্যালিয়ন প্রভাব।

কী এই পিগম্যালিয়ন প্রভাব
পিগম্যালিয়ন প্রভাব (Pygmalion effect) অনুযায়ী আপনি মন থেকে যদি কারও প্রতি ভরসা করেন, তার ওপর করা নিজের সেই প্রত্যাশার প্রতি ভরসা রাখেন এবং টিকে থাকেন সেই মানসিকতায় তবে সামনের ব্যক্তিটিও আপনার ভরসার মান রাখতে একশো শতাংশ সক্ষম হবেই হবে। অর্থাৎ আপনি যার প্রতি পজিটিভ এক্সপেক্টেশন রাখবেন এবং তা তার মধ্যে প্রোথিত করার চেষ্টা করতে থাকবেন তত সে নিজে আপনার প্রত্যাশাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করবে এবং উত্তীর্ণ হবে আপনার প্রত্যাশায়।
ধরে নেওয়া যাক, কেউ আপনাকে রোজ বলে ‘আমি জানি তুমি চেষ্টা করার আগেই সফল হবে।’ কারওর এমন প্রত্যাশা, রোজ শুনতে শুনতে আপনার সম্পূর্ণ জীবনটাই বদলে যেতে পারে। পাল্টে যেতে পারে দৃষ্টিভঙ্গি। আপনি সাধারণ থেকেই হয়ে উঠতে পারেন জিনিয়াস। ঠিক যেমন বাবা-মা যখন সন্তানকে দোষেন যে ‘তোর আর কিছুই হবে না। তোর মাথায় গোবর পোরা।’ সেটা শুনতে শুনতে সন্তানের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব হতে শুরু করে এবং সন্তানের পারফরম্যান্স খারাপ হতে থাকে কিন্তু সেই বাবা মা-ই যখন বলে ‘আমি জানি তুমি ঠিক তোমার স্বপ্নের চাকরিটা পাবেই’ বা ‘তুমি দারুণ রেজাল্ট করবেই’ অথবা কোনও অধস্তন টার্গেট সম্পূর্ণ করার আগেই যখন তাঁর ঊর্ধ্বতন বলে ‘আমি বিশ্বাস করি তুমিই একমাত্র পারবে এই টার্গেট অ্যাচিভ করতে’ সেই আফারমেশনে বা সেই প্রত্যাশা শুনে তাঁর সম্পূর্ণ মাইন্ডসেট ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। এমন কথা যে কোনও মানুষ তা সে ছাত্র হোক বা চাকুরে তাঁকে পড়াশুনো বা কর্মজীবন উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে ফলে সেই মানুষটি আরও কঠোর পরিশ্রম করেন কারণ তার মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায় এবং সে একটা সময় সফল হয়ই। উল্টোদিকের মানুষটার তাঁর প্রতি আত্মবিশ্বাসী মনোভাব তাঁকেও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। অর্থাৎ এই যে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউ টিউব জুড়ে সারাদিন ধরে শুনতে থাকি পজিটিভ আফারমেশনের কথা যা নাকি একটানা বলতে থাকলে, ভাবতে থাকলে সত্যি হয় এটারই নামান্তর। আসলে পজিটিভিটি আমরা চাইলে ছড়িয়ে দিতে পারি বা ঢুকিয়ে দিতে পারি অপরের মধ্যে। সহজ কথায় পিগম্যালিয়ন প্রভাব এটাই। কেউ যখন কারও প্রতি প্রত্যাশা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা রাখা হয় তখন সেই ব্যক্তি তা মনের মধ্যে ধারণ করতে শুরু করে, বিশ্বাস করতে শুরু করে এবং তখনই সে নিজেও তার সাফল্যকে দাবি করে এবং তা সৃষ্টি করতে শুরু করে। এই পজিটিভ ভাইব্রেশন বৃদ্ধি করতে করতে তাঁদের মধ্যের সম্পর্কটাও হয়ে ওঠে মজবুত এবং সুন্দর।
যাঁর মধ্যে প্রত্যাশা নেই, তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই, তার সাফল্যও নেই। গতানুগতিক মানসিকতা, প্রত্যাশাহীন মন কর্মক্ষেত্রে এবং কর্মকাণ্ডে বিপরীত প্রভাবই ফেলে। অপরের কাছে কম প্রত্যাশা তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং পারফরম্যান্স কমায়। নিজের প্রতি বিশ্বাস ও প্রত্যাশার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আপনার নিজের কাজের প্রতি নিজস্ব বিশ্বাস সরাসরি আপনার কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে। এই প্রভাব কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে পারলে আপনি অন্যকে যেমন সফলতার দিকে এগিয়ে দিতে পারবেন তেমন নিজের সাফল্যও কঠিন হবে না।

আরও পড়ুন- যে নারী স্বপ্ন ছোঁয়

পিগম্যালিয়ন প্রভাব নিয়ে গবেষণা
১৯৬৮ সালে মনোবিদ রবার্ট রোসেনথাল এবং লেনর জ্যাকবসন প্রথম এই পিগম্যালিয়ন এফেক্টের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁরাই প্রমাণ করে দেখান যে শিক্ষকদের ছাত্রদের প্রতি প্রত্যাশা তাদের অনেক ভাল পারফরম্যান্স করতে অনুপ্রাণিত করে এবং ছাত্রেরা যতই পিছিয়ে থাকুক না কেন তারা সেই প্রত্যাশার মান রাখতে ধীরে ধীর সক্ষম এবং সফল হয়ে ওঠে।
পজিটিভ এক্সপেকটেশন বা সদর্থক প্রত্যাশা যে কোনও মানুষের পারফরম্যান্সকে বাড়ায় এবং নেগেটিভ এক্সপেকটেশন বা প্রত্যাশা যে কোনও মানুষের পারফরম্যান্সকে কমায়। এই নিয়ে তাঁরা একটা পরীক্ষাও করেন। একটা স্কুলের অনেকগুলো বাচ্চাদের নিয়ে তাঁরা দুটো ক্লাসে ভাগ করে দিলেন। এই দুটো ক্লাসের বাচ্চারা তাদের আইকিউ লেভেল, স্কোর এবং অন্যান্য বহুদিক থেকে একদম একরকম ছিল। কিন্তু শিক্ষককে যখন দুটো ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরিচয় করানো হল তখন তাঁকে আলাদা বলা হল— এ সেকশনের বাচ্চারা খুব বুদ্ধিমান, খুব ভাল, এদের পড়াশুনোর ক্যাপাবিলিটি দারুণ। অন্যদিকে বি সেকশনের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বলা হল তারা গড় বাচ্চাদের মতোই সাধারণ মানের। এবার তাদের যখন পরীক্ষার সময় এল দেখা গেল এ সেকশনের বাচ্চারা, বি সেকশনের বাচ্চাদের থেকে অনেক ভাল ফল করেছে ওভারঅল। এই পিগম্যালিয়ন এফেক্ট বা প্রভাব জীবনে সর্বত্র ঘটতে পারে। পরিবার, অফিস, বাড়ির কাজের লোকের সম্পর্কের ক্ষেত্রে— সর্বত্র।

পিগম্যালিয়ন প্রভাব কীভাবে কাজে লাগাবেন তার কয়েকটা শর্ত
নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। যদি স্বপ্ন দেখতে পারেন তাহলে তা পূরণ করতেও পারবেন। পজিটিভ থিঙ্কিং কোনও হাইপ নয়, একটা অভ্যেস। যে অভ্যেসে বাঁচতে শিখুন, চলতে শিখুন। আপনার সেই পজিটিভ ভাবনাটাই অন্যকেও পজিটিভ ভাবতে বাধ্য করবে।
নিজের মধ্যে সেরা হয়ে ওঠার প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষাকে লালন করুন। নিজের মাইন্ডসেট বদলান। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সেই প্রত্যাশা আর আকাঙ্ক্ষা যেন বাস্তবসম্মত হয়। আসলে আমরা কেউই নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বাইরে বেরিয়ে চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে চাই না। অসম্ভবকে সম্ভব করতে হলে কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে হবে। তার জন্য জরুরি পরিবর্তনশীল মাইন্ডসেট। তবেই কিন্তু পিগম্যালিয়ন প্রভাব (Pygmalion effect) কাজ করবে।
আপনার স্বপ্ন বা যা পেতে চান সেই লক্ষ্যবস্তুর মূল্য আপনার চোখে ঠিক কতটা তার ওপরেও নির্ভর করে সাফল্য। যে কাজই করুন না কেন সেটাকে যদি সম্মান দেন, সেই কাজ যদি আপনার পছন্দের হয়, প্যাশনের হয় তাহলেই সেই কাজটার প্রতি বা সেই লক্ষ্যের প্রতি এগনোর জন্য মোটিভেটেড হবেন এবং সেই অনুপ্রেরণাই একটা সময় আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।
আপনি যদি কোনও টিমের মাথা হন তবে নিজের চেয়ে বেশি টিমকে বিশ্বাস করুন। কারণ আপনার তাঁদের প্রতি বিশ্বাস এবং প্রত্যাশা তাঁদের ভাল পারফরম্যান্স করতে বাধ্য করবে। এই জগতে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা ভাল কাজ করলেও যতক্ষণ না কেউ ভাল বলছে ততক্ষণ অনুপ্রাণিত হন না। তাই টিমকে পজিটিভ ফিডব্যাক দিন। এটাই কাজে আসবে।
এমন লোকজন বা সহকর্মী বা আত্মীয় পরিজনের আশপাশে থাকুন যাঁরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কারণ এরাই আপনাকে উদ্ধুদ্ধ করবে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে। এরাই আপনাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে। যেটা পেরিয়ে যাওয়ার তাগিদকে আপনার মধ্যে তৈরি করবে।
নিজের কাজে ফোকাসড হোন বা মনোযোগী হোন। শুধু ফলের আশা করবেন না। বেশিরভাগ মানুষ নিজের কাজটাকে আরও দক্ষতার সঙ্গে করবার কথা ভাবেন না বরং ফলাফলের আশায় বসে থাকেন।
মজার ছলে হলেও নিজের ভবিষ্যৎ সাফল্যের কথা, প্রোমোশনের কথা, প্রতিপত্তির কথা মুখে বলতে থাকুন। ভাবুন সাকসেস ইতিমধ্যেই এসে গেছে। আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন।
অনেক বড় লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে ছোট ছোট ব্যর্থতাকে গুরুত্ব দিতে নেই। পথে হয়তো অনেককিছুই আসবে যা আপনাকে হতাশ করতে পারে। সেই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের অভাব হতে পারে কিন্তু সেই ভাবনাকে জোর করে সরিয়ে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে।
ব্যর্থতা কিন্তু সাফল্যেরই অঙ্গ। সাফল্যের যে গোটা প্রক্রিয়া তার মধ্যেই থাকে ব্যর্থতা। যে সফল হয় আর যে ব্যর্থ হয় দু’জনের মধ্যে তফাত হল সফল ব্যক্তি ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে থাকে না। সে বাধা পেরয় এবং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলে। সফলতা হল একটানা চলতে একটা প্রসেস। লেগে থাকলে তা আসেই। ঠিক যেমন পিগম্যালিয়ন তাঁর লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন বলেই অসম্ভবটাও সম্ভব হয়েছিল।
যার মধ্যে কেউ কোনও সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছে না আপনি সেখানেও সম্ভাবনা দেখুন। কিছু না কিছু গুণ সবার মধ্যে থাকেই। পিগম্যালিয়ন প্রভাব কিন্তু অসম্ভবকেই সম্ভব করার কথা বলে। লিডার তিনিই যিনি তাঁর দলের মধ্যে থাকা মানুষদের প্রতিভা বা যোগ্যতা বুঝে সেই-সেই ক্ষেত্রটিতে তাঁকে আরও ভাল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন এবং তাঁর সেই দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারেন।
আসলে পিগম্যালিয়ন এফেক্ট বা প্রভাব কোনও অভিনব মনস্তত্ত্ব নয় এটা জীবনধারণে বা জীবনে চলার একটা উপায়। আপনি যতদূর যেতে চান ততদূরই যাবেন তাহলে লক্ষ্যটা কেন চাঁদের দিকে থাকবে না? তাই না?

Latest article