প্রতিবেদন: আবার সেই যোগীরাজ্য। আবার মর্মান্তিক পরিণতি। বিয়েতে লাখ লাখ টাকা পণ দেওয়া সত্ত্বেও শ্বশুর বাড়ির চাহিদা মেটেনি। শুরু হয় অত্যাচার। শেষে স্বামী-শাশুড়ি ও দেওর মিলে নববধূর শরীরে ফুটিয়ে দিল এইচআইভি সংক্রমণ হয় এমন ইঞ্জেকশন। উত্তরপ্রদেশেরে সাহারনপুরের এই ঘটনায় শিহরে উঠেছে গোটা দেশ। যোগীরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠল আর একবার। তার কারণ, স্থানীয় পুলিশ মেয়ের পরিবারের এফআইআরটিও নেয়নি। বাংলায় কোথাও অপমৃত্যু হলেই বিজেপি সে নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে। এই ঘটনার জবাব কে দেবে? বিয়ের সময় ছেলেকে দেওয়া হয়েছিল নামি মডেলে এসইউভি গাড়ি, ১৫ লাখ নগদ। সব মিলিয়ে বিয়ের খরচ প্রায় ৫০ লক্ষের কাছাকাছি। তারপরেও আরও চাই।
আরও পড়ুন-নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১৭
প্রতিদিনের গঞ্জনা এবং লাঞ্ছনা শেষে এমন পরিণতির কথা কেউ ভাবতেও পারেনি। বিয়ের একমাসের মধ্যে বউকে শ্বশুর বাড়িতে থেকে বেরও করে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় মেয়ে বাড়িতে ঢুকলে অত্যাচার আরও বাড়ে। এবার দাবি আরও বড় এসইউভি। আরও ১০ লাখ টাকা নগদ। তা না মেলায় দেওয়া হয় ভয়াবহ এইচআইভির ইঞ্জেকশন। তারপরেই এইচআইভি পজিটিভ হয় ওই তরুণী। আদালতে মামলা চলছে। নির্যাতিতা পরিবারের ভরসা এখন তারাই। ডবল ইঞ্জিনের যোগী রাজ্যে মহিলাদের উপর অত্যাচার প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। প্রশাসন নির্বিকার। দিল্লির মহিলা কমিশন কী জেগে ঘুমোচ্ছে! বাংলায় কিছু হলেই এত তৎপরতা এবং ক্যামেরা সঙ্গী করে নিয়ে নানা ডায়ালগ। বিজেপি নেতারা কী বলবেন?