আর কত মৃত্যু ও দুর্ঘটনা! আতঙ্কের অপর নাম রেল

কুণালের সুরে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ও সাকেত গোখেল। সাগরিকা বলেন, এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা।

Must read

প্রতিবেদন : একের পর এক রেল দুর্ঘটনা। কুম্ভেও মৃত্যু-আগুন। এত কিছুর পরেও চেতনা ফেরেনি রেলমন্ত্রীর। নয়াদিল্লির ঘটনার পরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ‘নাটক’। তাতে রেলমন্ত্রক কি এক ইঞ্চিও এগোবে? আর কতরকম দুর্ঘটনা, আর কতগুলো প্রাণ গেলে রেলমন্ত্রীর চেতনা ফিরবে? মানুষের এখন আতঙ্কের যাত্রা হয়ে দাঁড়িয়েছে রেলযাত্রা।

আরও পড়ুন-যে কারণে নয়াদিল্লি স্টেশনের দুর্ঘটনা

রেলমন্ত্রক উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গঠন করেছে দুই সদস্যের কমিটি। এর মধ্যে নর্দার্ন রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৮ জন যাত্রীর নির্মম মৃত্যুর জন্য রেলের কোনও গাফিলতি ছিল না! প্রশ্ন, তাহলে কাদের গাফিলতি? কেন এত লোক জড়ো হল? কেন তাঁরা বুঝতে পারলেন না কোন প্ল্যাটফর্মে কোন ট্রেন? কেন দেরিতে এসেছে ট্রেন? কেন প্রতি ঘণ্টায় দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্ল্যাটফর্মে ২০ হাজার লোক হয়ে যাওয়ার পরেও কী করছিল নিরাপত্তারক্ষীরা? কী করছিলেন স্টেশন ম্যানেজার?
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয় ঘটনা। প্রতিবাদযোগ্যও। কুম্ভে যাওয়ার পথে নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, রেলের যাত্রী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। এরা চাইছেটা কী? একের পর রেল দুর্ঘটনা, লোকাল থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে অনিয়মিত পরিষেবা, পানীয় জল, খাবার, অপরিচ্ছন্নতা-সহ অজস্র অভিযোগ। কোথাও ট্রেনের মধ্যে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করছে। তারপর সামনে এল এই চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। কুণালের কথায়, রেলের নিরাপত্তা ও পরিচালন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করে পোস্ট করেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই পোস্ট মুছে ফেলা হয়। সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুণাল বলেন, কেন সেই পোস্ট মোছা হল? পিছনে কি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কোনও চাপ ছিল?

আরও পড়ুন-উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে আরও বেশি করে থাকবেন অধ্যাপকরা: ব্রাত্য

কুণালের সুরে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ও সাকেত গোখেল। সাগরিকা বলেন, এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। অন্য ঘটনাগুলির মতো এক্ষেত্রেও মোদি সরকার তথ্য গোপন এবং ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রথমে তো সরকার মানতেই চায়নি এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে। পুরোটাই গুজব বলে ওড়ানোর চেষ্টাও হয়েছে। পরে বেকায়দায় পড়ে সরকার ঘটনার কথা স্বীকার করে নেয়। পুরো ঘটনা এটাই প্রমাণ করছে যে মোদি সরকার এতবড় জমায়েত সামলাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করুক।

Latest article