চারুকলা পর্ষদের উদ্যোগে কর্মশালা

শুধু ইচ্ছে বা অধ্যাবসায় থাকলেই হয় না। বরং সৃষ্টিতে কোনও ভুল ত্রুটি থাকলে তা শুধরে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন দক্ষ প্রশিক্ষকের।

Must read

সংবাদদাতা, হুগলি: শুধু ইচ্ছে বা অধ্যাবসায় থাকলেই হয় না। বরং সৃষ্টিতে কোনও ভুল ত্রুটি থাকলে তা শুধরে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন দক্ষ প্রশিক্ষকের। এবার সেই সুযোগই পেল কিছু শিল্পী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত চারুকলা পর্ষদ নিয়ে এসেছিল ৫ দিনের আবাসিক কর্মশালা। সেখানেই আসানসোল, বর্ধমান পূর্ব এবং পশ্চিম এবং হুগলি থেকে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী নাম লিখিয়েছিলেন এই চারুকলা শিবিরে সুযোগ পাওয়ার জন্য। সেখান থেকে আবাসিক হিসাবে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয় ২৩ জন শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন-ট্রাম্পের বড় ধাক্কা, ইউনুস প্রশাসনকে বন্ধ রাজনৈতিক উন্নয়নের অনুদান

চন্দননগর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সভাগৃহে হুগলি জেলা ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের ব্যবস্থাপনায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আবাসিক হিসাবে শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের অতিথি নিবাস “আলো” তে। পাঁচদিনের এই কর্মশালার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হারিট বসু। এছাড়াও প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রকর অভিজিৎ মিত্র, সোমনাথ চক্রবর্তী, সজল কান্তি মিত্র এর মত বিশিষ্ট চিত্র শিল্পীরা। জল রং, অ্যাক্রোলিকের উপর কাজ শেখানো হয়। ঘরের ভিতর যেমন ভাবানার ছবি আঁকা শেখেনো হয়, পাশাপাশি চন্দননগর গঙ্গার তীরবর্তী স্ট্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের বাস্তব ছবি আঁকতেও দেখা যায়। হাতে ধরে তাদের ভুল ত্রুটি শুধরে দেন প্রশিক্ষকরা। ছবি আঁকার পাশাপাশি মাটি দিয়েও বিভিন্ন ভাস্কর্য শিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হারিট বসু বলেন, আগামী দিনে হয়তো এখান থেকেই কোন বড় শিল্পী উঠে আসবে। শিবির শেষে অনেক কেই বলতে শোনা গেল এমন শিবিরে যুক্ত হতে পেরে অতীতের নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরতে না পারার আক্ষেপ অনেকটাই মিটলো।

Latest article