প্রতিবেদন : আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, ওরা ধর্ম বিক্রি করে রাজনীতি করে খেতে চায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় গদ্দার অধিকারীর স্পিকারকে লক্ষ্য করে কাগজ ছোড়ার মতো ভিত্তিহীন অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বাম আমলে কীভাবে তাদের কোণঠাসা করা হত, অধিবেশনে বলতে দেওয়া হত না— সেই প্রসঙ্গও এদিন টেনে আনেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি যখন কাগজ ছিঁড়েছিলাম, তখন আমি একা ছিলাম। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম আমাকে একটা কথাও বলতে দিত না। অথচ ৩৯ শতাংশ ভোট ছিল আমাদের। একটা বক্তব্য রাখতে দেওয়া হত না। একটা প্রশ্নও করতে দেওয়া হত না। বাধ্য হয়েই ওটা করতে হয়েছিল। সিপিএম কীভাবে সেসময় বিরোধী দলকে পর্যুদস্ত করত সেই কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, আমাকে সিঙ্গুরে ঢুকতে দেয়নি। আমি সেখান থেকে ফিরে এসেছিলাম বিধানসভায়। সেইসময় বিরোধী দলনেতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছিলাম। আমি বিধানসভার কোনও আসবাব ভাঙচুর করিনি। সেই সময়ে আমার দল উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। আমাকে প্রমাণ দিতে হবে! বামেদের আমলে বিরোধীদের বিধানসভায় বলতেই দেওয়া হত না। কিন্তু বর্তমান শাসক দল ৫০ শতাংশ বলার অধিকার বিরোধীদের জন্যও রেখেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গদ্দারের দল নিজেদের কিছু বক্তব্য না থাকায় অহেতুক অশান্তির সৃষ্টি করে বিধানসভায়। কিছু বলতে না পেরে, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এই প্রসঙ্গে এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখন তো তেমন পরিস্থিতি নেই। আমরা তো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সবাইকে বলতে দেওয়া হয়। কিন্তু শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হলে কীই-বা বলা যেতে পারে। কথা বলাও একটা আর্ট। এটা একটা শিল্প। বক্তৃতা মানে কাউকে আঘাত করা, সাম্প্রদায়িকভাবে ভাগ করে দেওয়া নয়। ওরা সেটাই করে। ওরা ধর্ম বিক্রি করে রাজনীতি করে খেতে চায়।
আরও পড়ুন- আমাকে ফেস করতে ভয় পায়, তাই হাউসে থাকে না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়