প্রতিবেদন : রাজ্যে আলুর বাম্পার ফলনের প্রেক্ষিতে ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের স্বার্থরক্ষায় রাজ্য সরকার আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে। হিমঘরগুলিতে ৩০ শতাংশ জায়গা তাঁদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে বলে কৃষি বিপণন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। ২০ মার্চ পর্যন্ত ওই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। রাজ্যে এবার ১ কোটি ৩০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি বিপণন দফতর।
এবার আবহাওয়া ছিল আলুচাষের অনুকূল।
আরও পড়ুন-শিক্ষা ব্যবস্থা কুক্ষিগত করতে চায় বিজেপি
পাশাপাশি চাষের জমিও কিছুটা বেড়েছে। গতবছর ৪ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর। ফলে হিমঘরে আলু রাখার জায়গা পেতে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিপণন দফতরের সঙ্গে হিমঘর মালিকদের আলোচনা হয়েছে। সেখানেই ছোট চাষিদের জন্য জায়গা সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন কর্তা পতিতপাবন দে জানান, এই ব্যবস্থায় তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য ৩০ শতাংশ জায়গার সংরক্ষণ নিয়ে যে বিধি রয়েছে, সেটি ২০ মার্চের পর উঠে যাবে। প্রশাসনের এই নির্দেশের বিষয়ে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। বৈঠকে ওই তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছিল ১৫ মার্চ। ওই দিনটিকেই বহাল রাখার জন্য সংগঠনের তরফে দফতরের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে হিমঘরের ভাড়া বৃদ্ধিরও দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে ভাড়া অনেক কম। এই কারণে বহু হিমঘর লোকসানে চলছে।