সীমান্তে ব্যর্থ বিএসএফ, অনুপ্রবেশকারীদের ধরছে রাজ্য সরকারই, সতর্ক প্রশাসন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছিলেন আগেই, সেটাই সত্যি হল। ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম তুলতে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি।

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছিলেন আগেই, সেটাই সত্যি হল। ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম তুলতে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। কমিশন আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে গোপন চক্রান্তে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়েছে। এখন ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম সামনে এসে পড়ায় বিজেপি মিথ্যাচার ও কুৎসার রাজনীতি শুরু করেছে। কিন্তু ভোটার তালিকায় এই ভুয়ো নাম যে কমিশন আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির চক্রান্ত এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যর্থতা, তা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিল তৃণমূল। তৃণমূলের সাফ কথা, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সেটিং করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটা নতুন মডিউলে বহিরাগতদের নাম তুলছে ভোটার তালিকায়। অন্যান্য রাজ্যের পর বাংলাকে টার্গেট করে ভোটার তালিকায় এই কারচুপি করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনই এই কারচুপি ধরে ফেলেছে। ফাঁস করে দিয়েছে গোপন ষড়যন্ত্র।

আরও পড়ুন-চুক্তিতে কর্মীদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি,অবসর ভাতাও, খুশির হাওয়া সব মহলে

সম্প্রতি বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েতে হঠাৎ এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ভোটার। তা নিয়ে চূড়ান্ত মিথ্যাচার ও কুৎসা করছে বিজেপি। কিন্তু প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে বিজেপি-নির্বাচন কমিশন-কেন্দ্রীয় এজেন্সির সেটিং ফাঁস করে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টা রাজ্যের আওতায় পড়ে না। সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। সেখানে গাফিলতি আছে বলেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে। রাজ্য সরকার সতর্ক বলেই এরা ধরা পড়ছে। বিজেপি এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। আসল সমস্যা হচ্ছে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন ছাড়া নির্বাচন কমিশনকে সেটিং করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটা নতুন মডিউলে বহিরাগতদের নাম তুলছে। বিজেপি সেটিং করে ভুতুড়ে ভোটার ঢোকাচ্ছে। এটা গভীর চক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন, প্রতিবাদ করেছেন। তিনি সকলকে নজর রাখতে বলেছেন। প্রশাসন ভাল কাজ করছে। রাজ্য প্রশাসন পুরোদস্তুর সতর্ক। বিজেপি যে ভয়ঙ্কর খেলা খেলছে, তারা কোনওদিন সফল হতে পারবে না।

আরও পড়ুন-গদ্দারের মিথ্যাচার ধরাল তৃণমূল

উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বারুইপুরের চম্পাহাটি বিধানসভার তালিকায় ১৮ হাজার ২০০ জন ভোটারের নাম ছিল। আচমকাই তা বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৪০০ জন। অর্থাৎ প্রতি বুথে প্রায় ৩০০-৪০০ জন ভোটার বেড়েছে। তালিকায় যাদের নাম জুড়েছে তারা মুর্শিদাবাদ, মালদহ, শিলিগুড়ির লোকজন। এক-একটি ফোন নম্বরে রয়েছে ৪-৫ জনের নাম। পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে গরমিল ধরা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, কমিশনকে হাত করে ভোটার তালিকায় অনলাইনে নাম তুলেছে বিজেপি। এর আড়ালে বিহার-উত্তরপ্রদেশের লোকেদের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে তালিকায়। মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে কী করেছে, তা একদিন সামনে আসবেই। কিন্তু বাংলায় আমরা এই ষড়যন্ত্র সফল করতে দেব না।

Latest article