ট্যাংরা : খুনি কে? দ্বন্দ্ব শুরু বাবা-কাকার

ট্যাংরার দে বাড়ির মৃত্যুরহস্যের জট এখনও পুরো কাটেনি। পুলিশ আপাতত দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয় এবং প্রসূনের কিশোর পুত্র প্রতীপের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায়।

Must read

প্রতিবেদন : ট্যাংরার দে বাড়ির মৃত্যুরহস্যের জট এখনও পুরো কাটেনি। পুলিশ আপাতত দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয় এবং প্রসূনের কিশোর পুত্র প্রতীপের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায়। এখনও পর্যন্ত যা খবর, সুস্থ হলে দুই ভাইকে গ্রেফতার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার প্রসূন ও প্রতীপকে ছেড়ে দিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় শনিবার প্রণয়কে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে এনআরএসে ভর্তি করানো হয়েছে।
শনিবারই পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছিল প্রতীপ। বয়ানে সে তার মা ও কাকিমার খুনি হিসেবে প্রণয়ের নামই বলেছিল। তার সঙ্গে প্রণয়ের বয়ানও মিলে গিয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন করে সমস্যা বাড়িয়েছে প্রসূনের বয়ান। তার বয়ানের সঙ্গে মিলছে না আর এক ভাই প্রণয় ও প্রতীপের বয়ান। তাই খুনের তদন্তে ফের নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। যা পরিস্থিতি তাতে এখন দুই ভাইকে মুখোমুখি না বসালে এই রহস্যের জট খোলা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কবে তা সম্ভব হবে সেটা এখনও অনিশ্চিত। তাই তদন্তকারীরা পড়েছেন সমস্যায়।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় সরকারের নির্লজ্জ প্রতিহিংসা, ক্যালেন্ডারে উধাও বাংলার কার্নিভাল কিংবা গঙ্গাসাগর

সূত্রের খবর, আত্মহত্যার পরিকল্পনা নিয়ে দুই ভাইয়ের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। সেদিন রাতে আত্মহত্যা করতে বেরিয়ে তিনজন গাড়ি নিয়ে কোথায় কোথায় গিয়েছিল তাও পুরোটা এখনও অজানা পুলিশের। ফলে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা।
এরই মধ্যে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। চামড়ার ব্যবসার পাশাপাশি জ্যোতিষ চর্চাও করত প্রণয়। এলাকার অনেকেই নাকি তার কাছে হাত-দেখাতে আসতেন। এই তথ্য হাতে আসতেই ফের এই ঘটনার অন্য দিকটিও খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। এই ব্যতিক্রমী আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে কোনও জ্যোতিষী বা কোনও জ্যোতিষ-যোগ আছে কি না সে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কিশোর প্রতীপের বয়ানের পর পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে খুনের পিছনে দুই ভাই-ই ছিল। কারণ, পুলিশি তদন্তে এখনও পর্যন্ত সেদিন দে বাড়িতে কোনও বহিরাগতর অস্তিত্ব মেলেনি। তবে আত্মহত্যাই যদি লক্ষ্য হবে তাহলে ঘটনার সাতদিন আগে থেকে বাড়ির সমস্ত সিসিটিভির সংযোগ কেন কাটা হয়েছিল তার উত্তরও পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনাকে এক নজিরবিহীন আত্মহননের পরিকল্পনা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Latest article