প্রতিবেদন : রাতের অন্ধকারে হাইওয়েতে গাড়ি নিয়ে রেষারেষির জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, যার জেরে প্রাণ গেল এক তরুণীর। আহত আরও দু’জন। অথচ গোটা ঘটনাকে ইভটিজিংয়ের মুচমুচে মোড়কে পরিবেশন করে আরও একবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ছবিকে বদনাম করতে নেমেছে বিরোধী দল ও মিডিয়ার একাংশ। অথচ আসল ঘটনা একেবারেই উল্টো। সে কথা প্রকাশে এনেছেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটরে সিপি সুনীল কুমার চৌধুরী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বুদবুদের আগে একটি পেট্রোল পাম্পে ওই মহিলার গাড়িতে তেল ভরে তারা গয়ার উদ্যেশ্যে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোতে থাকেন। পানাগড় ঢোকার মুখে পানাগড়ের যুবকদের সাদা গাড়িটি আগে ঢোকে। তার পিছনে মহিলার গাড়ি ধাওয়া করে। পরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনাস্থলের কয়েক মিটার দূরের একটি ভিডিও দেখিয়ে জানান, সেখানেও মহিলার গাড়ি ধাওয়া করে পানাগড়ের যুবকদের গাড়ি সেটাই স্পষ্ট দেখা গেছে। পারাজ থেকে পানাগড় পর্যন্ত মাঝে কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। গাড়িতে কতজন ছিল তাদের পরিচয় পেয়ে তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন-নিউ টাউন : ১৭ দিনে চার্জশিট
এদিন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। জখম হন তাঁর সঙ্গে থাকা দুই যুবক। তাঁদের কাঁকসার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পানাগড়ের এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে এটা একটা ওভারটেকিং কেস। এটা দুটো গাড়ির রেষারেষির ব্যাপার এখানে ইভটিজিং বা মহিলাকে নির্যাতন এই ধরনের কোনও বিষয় নেই। মহিলার মৃত্যুর পর কেউ বা কারা ঘটনাটাকে ইভটিজিংয়ের মতো করে চালিয়ে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে এটা সম্পূর্ণভাবে দুটো গাড়ির রেষারেষি কেস। এর সঙ্গে সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলার গাফিলতির কোনও সম্পর্ক নেই। হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসনের উপর নির্ভর না হয়ে নিজেদেরকেও সচেতন থাকতে হবে।