প্রতিবেদন : কুম্ভে (Maha Kumbh) মৃতদের পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিক যোগী সরকার। এই দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ১৪৪ বছর পর যে মহাকুম্ভের কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক কি না আমি জানি না। গবেষকরা যদি এবিষয়ে ধন্দ কাটিয়ে সঠিক তথ্য দেন, আমরা সমৃদ্ধ হব। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-তেও কুম্ভ হয়েছিল। আমি ভুল হলে আমাকে শুধরে দেবেন। তাঁর কথায়, যোগীসাহেব আমাকে যতই গালাগাল দিন, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। ওঁরা মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেননি। অন্তত ক্ষতিপূরণটা দিন! একথা বলতে গিয়েই তিনি বলেন, আমরা গঙ্গাসাগর মেলা করি। সেখানে জল পেরিয়ে যেতে হয়। আমরা ৫-৬ দিন জেগে থাকি। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হবে অক্ষয় তৃতীয়ায়। সেকথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে হাইপ তুলব না। কারণ, কুম্ভে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন। প্রসঙ্গত, জগন্নাথ মন্দিরের জমিটি হিডকোর হাতে আসছে।
এদিন উত্তরবঙ্গের চা-বাগানগুলিতে টি-ট্যুরিজম নিয়ে অপপ্রচারের জবাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, চা-চাষে আপস করে কোনও কিছু করা হবে না। কাউকে একলপ্তে ৩০ একর জমিও দেওয়া হবে না। অকারণ ভুল বোঝাবুঝির কোনও অবকাশ নেই। উত্তরবঙ্গের ৬টি চা-বাগান তিন বছরের লিজে দিল সরকার। কর্মীরা বেতন পাচ্ছিলেন না। এরা চালাতে পারলে ৩০ বছরের লিজ দেওয়া হবে। তবে চা-বাগানে ১৫ একরের বেশি জমিতে টি-ট্যুরিজম নয়। অবশ্য যে ১৫ একর জমিতে চা-গাছ নেই, কোনও দিন হবেও না সেই জমিই দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট ঘোষণা, টি-প্ল্যান্টেশনের সঙ্গে কোনও রকম আপস করা হবে না। চা হওয়ার পর যদি বর্ধিত জমি থাকে তবেই সেখানে টি-ট্যুরিজম হবে।
এদিন, একইসঙ্গে আলু-চাষিদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও তাঁদের ক্ষতিপূরণ নিয়েও নিশ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা বিমার টাকাও পাচ্ছেন। খরচ হচ্ছে ৩২১ কোটি টাকা। সরকার প্রতি কুইন্টালে ৯০০ টাকা দাম ধার্য করেছে সহায়ক মূল্য হিসেবে। ডিভিসির ছাড়া জলে ও বৃষ্টিতে যে আলু ভিজে গিয়েছে তা রাজ্য সরকার কিনে নিয়ে সুফল বাংলা স্টলে বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন- নির্বিঘ্নে পরীক্ষা, বিদ্যুৎকর্মীদের ধন্যবাদ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের