প্রতিবেদন : ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইনডোরে দলের সাংগঠনিক বিশেষ সভা নিয়ে তৃণমূলের সর্বস্তরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই দলীয় সার্কুলার মেনে ডেলিগেট কার্ডের জন্য যথাস্থানে নাম জমা দিচ্ছেন জেলার নেতৃত্ব। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Supremo Mamata Banerjee) এই বিশেষ সাংগঠনিক অধিবেশনে কী বার্তা দেন তা জানতে মুখিয়ে রয়েছেন সকলে। আগামী দিনে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে দল কোন পথে চলবে এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তার দিকনির্দেশ দেবেন নেত্রী। ঐদিন সভা শুরু হবে সকাল ১১টায়। দলের গাইডলাইন মেনে রাজ্যের সব প্রান্ত থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও দলের জেলা সভাপতিদের কাছে কিছু বার্তা পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নির্দেশে আগের অতিরিক্ত লিস্টের সঙ্গে নতুন তালিকা যুক্ত হচ্ছে। এঁরাও সাতাশের সভায় আসবেন। উপস্থিত থাকবেন টিএমসিপির রাজ্য কমিটি ও জেলার প্রতিনিধিরা। এরা সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এছাড়াও যে সব জেলা সভাপতিরা আসবেন, তাঁরা হলেন, ১. এসসি এবং ওবিসি সেল। ২. এসটি সেল। ৩. সংখ্যালঘু সেল। ৪. কিসান খেত-মজুর। ৫. শহর সভাপতি। ৬. কলকাতা ওয়ার্ড সভাপতি (মাদার, যুব, মহিলা, আইএনটিটিইউসি)। এছাড়াও থাকবেন শাখা সংগঠনের রাজ্য কমিটি। ১. তৃণমূল যুব কংগ্রেস। ২. তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। ৩. শিক্ষা সেল (ব্রাত্য বসু)। ৪. আইএনটিটিইউসি। ৫. এসটি, এসসি, ওবিসি। ৬. কিসান খেত-মজুর। ৭. সংখ্যালঘু সেল।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রয়োজনে শাখা সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্যরা ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বসবেন।
আরও পড়ুন- কুম্ভে মৃতদের পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিন যোগী
আগামী দিনে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে দল কোন পথে চলবে এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তার দিকনির্দেশ দেবেন নেত্রী (TMC Supremo Mamata Banerjee)। ঐদিন সভা শুরু হবে সকাল ১১টায়। দলের গাইডলাইন মেনে রাজ্যের সব প্রান্ত থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। নেত্রী যা নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশ মেনে জেলায়, পাড়ায়, ব্লকে, অঞ্চলে, মাঠে নেমে পড়বেন তৃণমূল কংগ্রেসের সকলে। অপেক্ষার আর মাত্র একদিন। দীর্ঘদিন বাদে এই ধরনের বড় মাপের সাংগঠনিক সভা হতে চলেছে। তাই সকলেই জানতে চান নেত্রী কী বলেন। নেত্রীর নির্দেশকে পাথেয় করেই আগামী দিনে পথ চলবে দল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিকভাবে নিজেদের আরও বেশি সংঘবদ্ধ ও পোক্ত করে নিতে এখন থেকে মাঠেই থাকবে দলের সৈনিকরা। একদিকে মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অবিরাম প্রচার ও প্রসার। সেইসঙ্গে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ দলের সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছনো ও তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়া—এই অঙ্গীকারেই পথ চলবে তৃণমূল।