লক্ষ্য ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূলের ২১৫টা আসন! বিজেপিকে একযোগে বিঁধলেন শতাব্দী-কীর্তি

Must read

২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে (2026 Assembly Election) ২১৫টা আসন পেতেই হবে। আসন আরও বেশি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নেতাজি ইন্ডোরের তৃণমূলের সভা থেকে জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে সাংসদ শতাব্দী রায় এবং সাংসদ কীর্তি আজাদও বিজেপিকে তোপ দেগে বক্তব্য রেখেছেন।

শতাব্দী রায় জানিয়েছেন,” আজ আমাদের দেখা হওয়ার কারণ ছাব্বিশের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কী হবে কিভাবে হবে, সেটা শোনার জন্য আমরা প্রত্যেকে উপস্থিত হয়েছি। শুধু এটা বলব যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়ায় ভালোবাসায় তৃণমূলের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে যেভাবে বলিষ্ঠ হয়ে যেভাবে সঠিকভাবে লজিক্যাল কথা বলে প্রত্যেকের প্রিয় হয়ে উঠেছেন সেটা কিন্তু তৃণমূলের জন্য খুশির খবর। তৃণমূলের জন্য অ্যাসেট। আর দিদির কথা বলতে একটা কথা মনে হয় সাংসদ হবার পর ভারতের যে প্রান্তেই যাই না কেন প্রথম সংসদ শুনে অনেকেই হয়তো ভাবে যে ২০০৯ যখন সাংসদ হয়েছিলাম আরও ছোট ছিলাম। একটু বিশ্বাস করতে অসুবিধে হতো সাংসদ বলে। তারপর প্রশ্ন করা হতো কোথাকার সাংসদ? যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতাম ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত আর একবার ঘুরে তাকান, এই যে সাংসদ ছড়াও উপরি সম্মান, ভালোবাসা, অ্যাটেনশন পাওয়া যায়, সেটা কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলাতে। এটাও ঠিক আমরা ১৫ বছর ধরে পার্লামেন্টে অনেক সিএমকে আসতে দেখি, তাদের দেখে অন্যান্য সাংসদদের যে উত্তেজনা থাকে না তার দিদিকে দেখে থাকে। সকলে কথা বলতে আসে এটা কিন্তু আমাদের ভালোবাসার জায়গা। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একই ভরসা রেখে এখনো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসেন। তার ওপর বাংলার মানুষের আস্থা-ভরসা বিশ্বাস আছে বলে আজও আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। আগামী দিনেও দাঁড়িয়ে থাকবো। তৃণমূল একমাত্র থাকবে।”

আরও পড়ুন- ছাব্বিশের নির্বাচনে ২১৫-এর বেশি আসন নিয়ে চতুর্থবার ক্ষমতায় আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: অভিষেক

কীর্তি আজাদ বলেন,”কর্মী ছাড়া সংগঠন বা সংস্থা চলে না। আমাদের শরীরে বয়ে চলা রক্ত যেমন আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, সংগঠনের কর্মীরাও হচ্ছেন তেমনই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভালবাসেন। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে ভালবাসে। আমি বিজেপির তিনবার সাংসদ ছিলাম একটা কথা বলতে পারি আমার থেকে বড় বিজেপি হয়তো কেউ ছিল না কিন্তু বিজেপি সম্মান দেয় না। ১৯৯৯ সালে দিদি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন আমাকে বলেছিলেন বিজেপি তোমাকে এবং তোমার বাবাকে সম্মান দেয়নি। আমি সম্মান দেব। দিদি কথা রেখেছেন আমাকে পরিবারের সদস্য করেছেন। গত সেপ্টেম্বর আমার স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন তার শেষকৃত্য হয়েছে দুর্গাপুরে। আমিও জীবনের শেষ দিন অবধি বাংলার মাটিতেই থাকতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। মানুষ চাইলে আমার গর্দান দিয়ে দেব। আমি একটা কথাই বলবো জিনা ইহা মরনা ইহা ইসকে সিবা জানা কাহি নেহি।”

Latest article