প্রতিবেদন : দিনদশেক আগে কার্যত নিজের চোখের সামনে মা-কাকিমা ও বোনকে খুন হতে দেখেছে! নিজের বাবা-কাকার হাতে শেষ হয়ে যেতে দেখেছে গোটা পরিবারকে! সেই বিভীষিকাময় রাতের স্মৃতি এখনও টাটকা ট্যাংরার বছর পনেরো’র প্রতীপ দে’র মনে। এখনও সে এক হাতে প্লাস্টার নিয়ে ভর্তি এনআরএস হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে। রয়েছে কড়া পুলিশি (Police) পাহারা। কিন্তু নাবালক প্রতীপের মনে এখনও দগদগে পরিবার হারানোর ক্ষত। সেই ক্ষত নিরাময়ের জন্যই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। প্রতীপের মন ভাল রাখতে তার সঙ্গে দাবা খেলছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা (Police)। প্রতীপের সঙ্গে বিভিন্নরকম গল্প করে তাকে খোশমেজাজে রাখার চেষ্টা চলছে পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবার এনআরএসে প্রতীপের সঙ্গে দেখা করে শিশু সুরক্ষা কমিশন। তাঁদের কাছে নিজের মা-কাকিমা ও বোনের নৃশংস খুনের রোমহর্ষক বিবরণ দিয়েছে প্রতীপ। কীভাবে বিষ-পায়েস খাইয়ে তাকেও মুখে বালিশ চেপে খুনের চেষ্টা করেছিল কাকা প্রসূন, সেই কথাও বলেছে সে। মন ভাল রাখতে প্রতীপকে দাবার বোর্ড ও গল্পের বই উপহার দিয়েছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। তারপর থেকেই পুলিশ ‘কাকু’দের সঙ্গে দাবা খেলে ও গল্পের বই পড়ে সময় কাটছে প্রতীপের। সে যাতে মানসিকভাবে দ্রুত সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে প্রতীপের কাউন্সেলিংয়ের আবেদন জানিয়েছেন কমিশন। কারণ, এনআরএস হাসপাতালে শুধু প্রতীপের শারীরিক আঘাতের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তার মানসিক আঘাতেরও চিকিৎসা প্রয়োজন!
আরও পড়ুন- বিজেপির ভুতুড়ে ভোটারে বিরক্ত ভূতেরাও, সামনে আসছে আরও ঘটনা