দুবাই, ১ মার্চ : নেটে কেউ যদি ৯৫ মিটার দূরে বল ফেলতে পারে, তাহলে তাকে ফিটই বলতে হবে। রোহিত শর্মা ঠিক সেটাই করলেন দুবাই অ্যাকাডেমি নেটে। এর সঙ্গে সুইপ, রিভার্স সুইপ। এগুলো মিচেল স্যান্টনার আর মাইকেল ব্রেসওয়েলকে সামলাতে।
মনে হতে পরে ভারত অধিনায়ক যদি এসবই করতে পারেন, তাহলে তিনি ম্যাচ ফিট। হ্যামস্ট্রিং চোট বলে আর কিছু নেই। হয়তো তাই। সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতেও বলেছেন, রোহিত ঠিক আছে। ও তো ফিল্ডিং করল। এই যে রোহিতের হ্যামস্ট্রিং নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেটা আগেও হয়েছে। ও জানে এসব কী করে সামলাতে হয়।
কিন্তু এরপরও নিউজিল্যান্ড ম্যাচে অধিনায়ক খেলবেন, সেটা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। অধিনায়ককে ঘিরে বিশ্রাম, ঝুঁকি এড়ানোর শব্দগুলো নাগাড়ে ঘুরছে। ফলে শুভমন গিলের ওডিআই নেতৃত্বের দামামা বাজছে। আর সেটা খুব স্বাভাবিক। রোহিত বিশ্রাম নিলে সহ-অধিনায়ক দলের দায়িত্ব নেবেন, এরকমই কথা আছে। তবে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে এসবই জল্পনা। এই লেখার সময় পর্যন্ত ভারতীয় দল থেকে আপডেট আসেনি।
আরও পড়ুন-জরিমানা রিয়ালের
ভারত ও নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে। ফলে রবিবাসরীয় ম্যাচের তেমন আক্ষরিক গুরুত্ব নেই। এমনকী পরিস্থিতি এও জানাচ্ছে যে, ৪ মার্চ দুবাইয়ে ভারত আর অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে যাওয়ার জন্য লড়তে চলেছে। তাহলে পড়ে থাকল কী? এটাই যে, মেগা সেমিফাইনালের আগে দলের ফাটল সরিয়ে নেওয়া। যারা ম্যাচ পায়নি, তাদের নিয়মরক্ষার ম্যাচে খেলিয়ে নেওয়া। ইত্যাদি। সেই কারণেই রোহিতের সঙ্গে মহম্মদ শামির বিশ্রামের কথাও হাওয়ায় ভাসছে। খবর হল, পাক ম্যাচে তিনি চোট পেয়েছিলেন। তারপর থেকে নেটে আর পুরোদস্তুর বল করছেন না।
রোহিত বিশ্রাম নিলে ঋষভ পন্থ ম্যাচ টাইম পাবেন। শামি না খেললে দলে আসবেন অর্শদীপ সিং। সম্ভাব্য বিশ্রাম প্রাপকদের তালিকায় রবীন্দ্র জাদেজার নাম শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দলে আসবেন অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। যা খবর, তাতে স্পিনারদের মধ্যে অক্ষর ও কুলদীপকে হয়তো খেলানো হবে। তবে টি-২০ ক্রিকেটে কামাল করা বরুণকে হিসাবের মধ্যে ধরা হচ্ছে না। যেহেতু নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা কুলদীপের সঙ্গে আরও একজন মিস্ট্রি স্পিনার পেলে সেটা অ্যাডভান্টেজ হিসাবে নিতে পারেন। যেহেতু তাঁরাও স্পিন বেশ ভাল খেলেন।
রবিবারের ম্যাচে স্পিনের লড়াই হতে পরে। একদিকে ভারতীয় স্পিনাররা। উল্টোদিকে স্যান্টনার, ব্রেসওয়েল ও গ্লেন ফিলিপস। দুবাইয়ে পাঁচ স্পিনার নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ায় প্রচুর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে সেটাই গম্ভীরের মাস্টার স্ট্রোক। পাকিস্তান এক স্পিনার নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নেমে যেমন ডুবেছিল। আর একটা আব্রার আহমেদ থাকলে রিজওয়ান কিছুটা স্বস্তি পেতেন।
বিরাট কোহলি পাকিস্তান ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়ে যাওয়ার পর খোশমেজাজে রয়েছে ভারতীয় শিবির। ব্যাটিং নিয়ে এমনিতেই চাপ ছিল না। লম্বা লেজ। এর সঙ্গে আবার সবাই ফর্মে। রোহিত খুব বড় রান না পেলেও তাঁকে ছন্দে নেই মনে হচ্ছে না। ভারতীয়দের জন্য একমাত্র চাপ ও’রুরকি। তাঁকে শুরুতে সামলে দিতে পারলে আর সমস্যা নেই। রাচিনকে নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। কপালে চোট পাওয়ায় পর ফিরে এসে সেঞ্চুরি করেছেন।