ওরা পড়ুয়া নয়, ওরা গুন্ডা, বললেন অরূপ, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় ৮বি থেকে প্রতিবাদ মিছিল করবে ওয়েবকুপা

যারা শিক্ষামন্ত্রী ও অধ্যাপকদের আক্রমণ করেছে তারা গুন্ডা, কোনওভাবেই তাদের বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূলের ধিক্কার মিছিল থেকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

Must read

প্রতিবেদন : যারা শিক্ষামন্ত্রী ও অধ্যাপকদের আক্রমণ করেছে তারা গুন্ডা, কোনওভাবেই তাদের বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূলের ধিক্কার মিছিল থেকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পাশাপাশি আরও জানিয়ে দিলেন, যারা এই ধরনের কাজ করেছে তারা কোনওভাবেই পড়ুয়া হতে পারে না। তারা অবশ্যই বহিরাগত। ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ওপর বর্বরোচিত আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে সুকান্ত সেতু থেকে একটি মিছিল করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সায়নী ঘোষ, এলাকার বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার-সহ অন্যরা। এই ধিক্কার মিছিল থেকে বাম ও অতিবাম সংগঠনের বিক্ষোভকারী গুন্ডাদের প্রতি ক্ষোভও উগরে দেন তাঁরা। অরূপ বিশ্বাস বলেন, যদি মনে করা হয় এক মিনিট সময় লাগবে যাদবপুর দখল করতে। তোমরা ছাত্র, গুন্ডামি তোমরা কোরো না। যাদবপুরের মানুষ বারবার তোমাদের থাপ্পড় মেরেছে। প্রতিবাদ চলবে। যাদবপুরে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই চলবে। এত বড় হিম্মত আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে ভাঙচুর করল! আগুন নিয়ে খেলবেন না কমরেড। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, মাও-মাকুদের বলতে চাই, অশান্ত কোরো না। আমাদের প্রতিবাদ চলছে, চলবে। যাদবপুরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। সেই প্রতিষ্ঠারও লড়াই চলবে। আগুন নিয়ে খেলতে যাবেন না। মানুষই ওদের যাদবপুর ছাড়া করেছে।

আরও পড়ুন-আলিপুর চিড়িয়াখানা, অপরাজিত ১৫০

অরূপ বিশ্বাস আরও বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। যারা শিক্ষামন্ত্রীর গায়ে হাত দেয়, অধ্যাপকদের গায়ে হাত দেয়, তাদের আমরা ছাত্র বলে মনে করি না। আজ শুধু শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এরা নিজেদের কী করে ছাত্র বলে দাবি করে, যারা গণতন্ত্র মানে না। এরা তৃণমূলকে ভয় পায়। তবে নেত্রী আমাদের সহনশীল হতে শিখিয়েছেন। আগামিকাল থেকে রাস্তায় নামার লড়াই। ঘটনার প্রতিবাদে অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় যাদবপুর ৮-বি থেকে মিছিল করবে।
সায়নী ঘোষ বলেন, যাদবপুরকে অশান্ত করতে চাইছে এরা। কিন্তু এসব করে লাভ নেই। শান্ত বাংলাকে কোনওভাবে অশান্ত করা যাবে না। আমরা রুখে দাঁড়াব। আর ছাব্বিশের ভোটে বড় খেলা হবে। কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না। যারা ২৯৪টি সিটের মধ্যে একটি সিট জিততে পারে না তারা ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। ২০২৬ সালে ফের খেলা হবে।

Latest article