প্রতিবেদন : এসএফআইয়ের লুম্পেনদের হামলায় আহত হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন কোথায় কোথায় আঘাত লেগেছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আবার কনভেনশন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ছাত্রদের র্যাগিং করা হয়, মেরে দেওয়া হয়, কেন্দ্রের বা রাজ্যের কেউ ঢুকতে গেলে আটকে দেওয়া হয়। বাবুল সুপ্রিয়কে আটকানো হয়েছিল, সেই সময়ে এদের হুঁশ থাকে না। মন্ত্রী গোড়া থেকেই সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছেন। বাম সংগঠনের চারজনের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সেই শান্তির পথে হাঁটতে নারাজ। অধ্যাপকদের আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, আমার খোঁজ নেওয়ার আগে অধ্যাপকদের খোঁজ নিতে হবে। তাঁরা গুরুতর আহত। আমি আমার থেকে বেশি অধ্যাপকদের নিয়ে চিন্তিত। ওঁদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। গাড়ি ভাঙচুরের ফলে ভাঙা কাচের টুকরো তাঁর মুখে এসে লাগে। চোট লেগেছে হাতেও। মন্ত্রীর গাড়ির সামনের আসনে বসে ছিলেন। হামলার সময় তাঁকে বাঁচাতে তাঁর দেহরক্ষীরা পিছন দিকে টেনে সরাতে গেলে কাঁধে চোট লাগে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
হাসপাতালে ট্রমা কেয়ারে তাঁর চিকিৎসা করার সময়ও তিনি বাকি অধ্যাপক ও আহত ছাত্রছত্রীদের খোঁজ নেন। ডাক্তাররা তাঁকে থাকতে বললেও বাকিদের কী অবস্থা এসব ভেবেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পড়েন ব্রাত্য। উপাচার্য বারবার আমাকে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতে বলেছিলেন, আমি রাজি হইনি। আমি চেয়েছিলাম আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে, ওরা আলোচনা চাইছে না। ওরা নৈরাজ্য চাইছে, ওরা প্ররোচনা দিচ্ছে। ওয়েবকুপা ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানায় গেছে। এফআইআর করেছে। ব্রাত্যকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, অধ্যাপকদের ঘোষিত সভায় ডিস্টার্ব করতে যাবে কেন? যেখানে অধ্যাপক সংগঠন তাদের মতো করে সম্মেলন করছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রীকে ঢুকতে দেবে না, বিক্ষোভ করে অন্য বক্তব্য রাখার ছুঁতোয় ভাঙচুর করবে, এই অরাজকতা তৈরি হবে কেন? কেন শিক্ষামন্ত্রীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না? গণতান্ত্রিক রাজ্যে এগুলো কী হচ্ছে? ওরা প্ররোচনা দিচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী তো কথা বলতে চেয়েছিলেন। ওদের কেউ রাজি হয়নি।