ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইব না : জেলেনস্কি

এর জবাবে ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ ‘না’ বলে দিয়েছেন। তবে এ ধরনের বাদানুবাদ দুই দেশের সম্পর্কের জন্য যে ভাল নয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন।

Must read

প্রতিবেদন: হোয়াইট হাউসে বসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাদানুবাদের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইবেন কিনা। এর জবাবে ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ ‘না’ বলে দিয়েছেন। তবে এ ধরনের বাদানুবাদ দুই দেশের সম্পর্কের জন্য যে ভাল নয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন। ট্রাম্পের কাছে দুঃখপ্রকাশ করবেন না বলে জানিয়েও জেলেনস্কি মেনে নিয়েছেন, ওভাল হাউসে যা হয়েছে তা দু-দেশের সম্পর্কের জন্য ভাল নয়। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সহায়তা না করেন তাহলে রাশিয়ার আক্রমণ রোখা কঠিন হবে। এই প্রসঙ্গেই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে বলেছেন, দু-দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন-প্রয়াত আলতাফ, শোক মুখ্যমন্ত্রীর

তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর ইউরোপের দেশগুলির ঢালাও সমর্থন পেয়েছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক মিত্র দেশ। জেলেনস্কির বিরুদ্ধে প্রচার করে ট্রাম্প আসলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জয়ী ঘোষণা করার পথে হাঁটছেন বলে মনে করেন ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে মার্কিন বিদেশনীতিতে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন করে ট্রাম্প যেভাবে পুতিনের সমর্থনে স্বর চড়াচ্ছেন তাতে আতঙ্কিত ইউরোপের একাধিক দেশ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে শান্তি ও ইউরোপের নিরাপত্তার কথা বলেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। সবরকম পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্র। ইউক্রেন ও জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন ইতালি, স্পেন, ডেনমার্ক, মলডোভা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ইউরোপীয় কমিশনেরও স্পষ্ট বার্তা, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে শান্তির কথা বলে যাবে কমিশন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারও জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনে অবিচল ব্রিটেন। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য যা করণীয়, তা করছেন জেলেনস্কি।

Latest article