কলকাতা পুরভোটের (KMC Election) জন্য হাতে মাত্র ১০ দিন। এই সময় তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের প্রচার ও জনসংযোগ যখন শেষপর্যায়ে, সেই অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দানে দেখা নেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP)। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সামান্য হলেও প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন-দুর্যোগ কেটে স্বাভাবিক ছন্দে উপকূল ,আলুর খেতে জমল জল ৭৫ শতাংশ, ধান চাষিদের গোলায়
একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকে গোটা রাজ্যের মতো কলকাতার বুকেও বিজেপির সংগঠনে চিড় ধরেছে। মিটিং-মিছিল তো দূরের কথা, দেওয়াল লেখার, পোস্টার মারার লোক পাচ্ছে বা গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা।
মহিলা প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচারে স্বামী-পুত্র আর পুরুষ প্রার্থীদের পাশে হাতে গোনা কিছু পরিচিত লোক। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মুমতাজ আলী। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, মনোনয়ন দেওয়া ও স্কুটিনির সময় একজন বিজেপি কর্মীও তাঁর পাশে ছিল না। জেলা ও রাজ্য নেতারা সেই সময়ে তাঁর ফোন ধরেননি। এমনকি তারপরও কেউ যোগাযোগ করেনি। একই অভিযোগ, ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সদানন্দ প্রসাদেরও। মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবার বিজেপি প্রার্থী রাজঋষি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রয়াত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-পরিকল্পিত খুন বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআর,
কলকাতা পুরভোটের আগে সোমবার ICCR-এ রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি আইটি সেলের (IT Cell) প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এদিন তিনি বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা তো লড়াইয়ের আগেই হেরে বসে আছেন”। অমিত মালব্য নিজে বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পেরে রাজ্য নেতাদের কর্মীদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন এবং ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বুথ এজেন্টদের তালিকা জমা দিতেও বলেন।
আরও পড়ুন-ওয়ার্ডই আমার বৃহত্তর সংসার
সূত্রের দাবি, হুগলি, হাওড়া, নদীয়া, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলা থেকে এই কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে আসছে বিজেপি। দলের যুব ও মহিলা শাখাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।