গোপাল সেনের মতো বামগুন্ডারা ব্রাত্য বসুকেও খুনের ছক করেছিল

কাল যাদবপুরে শিক্ষকদের প্রতিবাদ মিছিল , ওয়েবকুপা বলল

Must read

গোপাল সেনের মতো শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও যাদবপুরে খুন করতে চেয়েছিল বাম গুন্ডারা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে মন্ত্রীর উপর প্রাণঘাতী হামলা করা। কিন্তু সেই প্ররোচনায় পা না দিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে অভিভাবকসুলভ আচরণ করে গিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সম্মেলন ঘিরে তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালায় বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠন। কিন্তু এতেই দমে থাকার পাত্র নয় ওয়েবকুপা। এদিন অধ্যাপক সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, তাঁরা আরও বৃহৎ আন্দোলনের পথে নামছেন। একইসঙ্গে অধ্যাপক সংগঠন জানিয়ে দেয়, যাদবপুরে তারা আবার সম্মেলন করবে। বামেদের কোনও ভাবেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কুক্ষিগত করতে দেওয়া যাবে না। এই আন্দোলনকে আরও জোরালো করে তোলার ডাক দেয় তারা। ঘটনার দিন এসএফআইয়ের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ঘটনার দিন এসএফআই চিঠি দিয়ে ব্রাত্য বসুকে তাদের আবেদন জানায়। এরপরে আরও একটি দল এসে দেখা করতে চায়, ব্রাত্য বসু তাতেও অনুমতি দেয়। তারা বলে চারজনে হবে না আরও প্রতিনিধি দেখা করতে চায়। এরপর তারা কোলাহল শুরু করে। এরপর যখন মন্ত্রী বেরিয়ে যাচ্ছেন তখন তারা আটকানোর চেষ্টা করে। গাড়ির সামনে পড়ে গিয়ে চাপা পড়ার নাটক করে। আমাদের সংগঠনের যে বিশালতা, তাকে ব্যবহার করে তারা খবর হতে চেয়েছে। সংগঠনের সহ-সভাপতি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদবপুরে আমরা রাজত্ব দখল করতে যাইনি, যাদবপুরে সাম্রাজ্য বিস্তার করতেও যাইনি। ওদের এটা পূর্বপরিকল্পনা ছিল। তার শিকার হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীকে
যেভাবে আঘাত করা হয়েছে তাতে উনি যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারতেন। অধ্যাপক প্রশ্ন তোলেন, কোনও সুস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুস্থ পড়ুয়ারা কি আদৌ এই ধরনের শব্দবন্ধ ব্যবহার করতে পারে? বিজেপি-বামেদের বিরুদ্ধে আমাদের যে লড়াই সেই লড়াইকে রুখে দেওয়াই কি তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল? যারা ঠেলাঠেলি করেছে তারা প্রকৃতস্থ অবস্থায় ছিল না।
ওই উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের দল কোনও বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে উপস্থিত অধ্যাপকদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকে এবং শারীরিক নিগ্রহে লিপ্ত হয়। সবচেয়ে নিন্দনীয় বিষয় হল, মহিলা অধ্যাপকগণও তাদের এই বর্বর আক্রমণের শিকার হন। যারা গণতান্ত্রিক আলোচনার পথে না গিয়ে সন্ত্রাস ও হিংসার মাধ্যমে নিজেদের মতাদর্শ চাপিয়ে দিতে চায়, তারা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ওয়েবকুপা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, এই ধরনের গুন্ডামি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

আরও পড়ুন- তিন দশক পর কুলতলির সমবায় তৃণমূলের দখলে

Latest article