গোয়াল থেকে ছাগল নিয়ে ঠাকুরঘরে চিতাবাঘ!

ছাগলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তরুণ রায়ের। বিছানা থেকে উঠেই দেখেন, বাড়ি থেকে পালিত ছাগলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি চিতাবাঘ।

Must read

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার ও কোাচবিহার : ভোরের আলো ঠিক করে ফোটেনি। ছাগলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তরুণ রায়ের। বিছানা থেকে উঠেই দেখেন, বাড়ি থেকে পালিত ছাগলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি চিতাবাঘ। তিনিও পিছনে পিছনে দৌড় দেন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে তখন প্রতিবেশীরাও জেগে গিয়েছেন। বিপদ বুঝে শিকারকে ফেলে পালাতে বাধ্য হয় চিতাবাঘটি। কিন্তু তার পর থেকে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চিতাবাঘটি সোজা ঢুকে পড়ে ঠাকুর ঘরে। মঙ্গলবার সকালে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার সংলগ্ন পাতলাখাওয়ার ঘটনা।

আরও পড়ুন-কানাডা, মেক্সিকো ও চিনের উপর চাপল মার্কিন শুল্ক, পাল্টা দিল বেজিংও, শেয়ার বাজারে ধস

দিন কয়েক আগেই জলদাপাড়া সংলগ্ন শালকুমারের প্রধান পাড়ায় এক গৃহস্থের শৌচাগারে লুকিয়ে ছিল একটি চিতাবাঘ। তাকে নিয়ে সে সময় হইহই কাণ্ড গ্রামে। এবার সেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বেরিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষচিতা আশ্রয় নিয়েছিল আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের সীমানার সুধনের কুঠি গ্রামের গৃহস্থের ঠাকুরঘরে। মঙ্গলবার সকালে পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তরুণের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল ওই চিতাবাঘটি। ঘর থেকে একটি ছাগল তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। সেই সময় তরুণের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি ছাগলটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তার পর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চিতাবাঘ ঢোকার খবর। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। শেষ পর্যন্ত চিতাবাঘটিকে ধরে খাঁচায় ভরেন বনকর্মীরা। পরে চিলাপাতা জঙ্গলে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহারের এডিএফও বিজন নাথ বলেন, সকালবেলা খবর পেয়েই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। চিতাবাঘটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ় করে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। চিতাবাঘটি সুস্থই আছে।

Latest article