যোগীরাজ্যে নৈরাজ্য! প্রতিনিয়ত বাড়ছে হিংসা, ক্ষতি, ঈর্ষা, খুন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ষণ, নারকীয়ভাবে হত্যার একাধিক ঘটনা সামনে আসছে। এবার আরও একটি নৃশংস ঘটনা উত্তরপ্রদেশে (UttarPradesh)। ৫ বছর শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে এবং তার দেহ ৪ টুকরো করেছে খোদ বাবা। খুনের কারণ জেনে হতভম্ব খোদ পুলিশও। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের বাসিন্দা মোহিতের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীর ঝামেলা ছিল। তবে তাঁর ৫ বছরের মেয়ে তানিকে তাঁরা খুবই ভালবাসত। তাই খেলতে তানিও মাঝেমধ্যে তাঁদের বাড়িতে যেত। অভিযুক্ত জানিয়েছে এই কারণেই মেয়েকে খুন হতে হয়েছে। পুলিশের তরফে খবর, কয়েক দিন আগে খবর আসে তানিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তল্লাশি শুরু হয় আর তারপর মেয়েটির দেহাংশর খোঁজ পায় পুলিশ। সময়ের সাথে একে একে উদ্ধার হয় ৩টি অংশ। তদন্তকারীরা এরপরেই নিশ্চিত হয়ে যায় মেয়েটিকে খুনই করা হয়েছে। কিন্তু কে করল খুন, সেটা বোঝা যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন-ফের আগুন লাগল শুশুনিয়া পাহাড়ে
পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করে মোহিতের সঙ্গে ঝামেলার কারণে হয়তো তাঁর প্রতিবেশী তানিকে মেরে ফেলেছে। তবে সময়ের সাথে মোহিতের ওপর পুলিশের সন্দেহ হয় কারণ তারা জানতে পারে মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরই সে নাকি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এমনকী ফোনও সঙ্গে নেননি। কিছুদিন পর সে ফিরে এসে পুলিশের কাছে যায়। জেরার মুখে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করেন মোহিত। পুলিশকে জানান প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রথমে ভাল ছিল। কিছুদিন আগে একটি কারণে দু-পক্ষের ঝামেলা হয়। তানিকে তাঁদের বাড়ি যেতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়ে কথা শোনে না। বারণ করা সত্ত্বেও সেখানে যাচ্ছিল তাই রাগের মাথায় মেয়েকে খুন করেছে সে। ঘটনার দিন মেয়েকে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফিরতে দেখে ফেলে মোহিত। এরপর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাইকে করে দূরে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় মেয়েকে। সেখানে গলা টিপে খুনে করেন মেয়েকে। প্রমান লোপাট করার উদ্দেশ্যে দেহ ৪ টুকরো করে দিয়েছিলেন তিনি।