প্রতিবেদন : ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় ভুল শুধরে নেওয়ার কথা জানাতে বাধ্য হল। শুক্রবার কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হল, আগামী তিন মাসের মধ্যে ভুয়ো ভোটারের সমস্যার সমাধান করবে তারা। কমিশন জানিয়েছে, ভোটার কার্ডের নম্বর যাই হোক না কেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা একজন বৈধ ভোটার তাঁর নিজের নির্দিষ্ট বুথেই ভোট দিতে পারবেন৷ অন্য কোথাও ভোটদানের অধিকার পাবেন না তিনি৷ তৃণমূলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল বাংলার ভোটারদের এই রাজ্যেই ভোটদান সুনিশ্চিত করতে হবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবির কাছেও নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷
আরও পড়ুন-বিএ কমিটির বৈঠকে অধ্যক্ষ
দেশের ৯৯ কোটি ভোটারের মধ্যে কতগুলি ভুয়ো ভোটার কার্ড আছে? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল৷ এই প্রসঙ্গেই দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি, গত এক সপ্তাহে দু-দু’বার আইওয়াশের চেষ্টা করল নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের হ্যান্ডবুকে সাফ জানানো হচ্ছে কোনওভাবেই ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড সম্ভব নয়৷ তারপরেও কীভাবে এই ডুপ্লিকেট সরবরাহ করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশন৷ তাৎপর্যপূর্ণ হল, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে, সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব৷ এই অধিবেশনেই ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যুতে সংসদে ঝড় তুলবেন তৃণমূল সাংসদেরা৷ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নোটিশ পেশ করে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছেন একঝাঁক তৃণমূল সাংসদ৷ দলীয় সূত্রের দাবি, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ এবং রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান, ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ-সহ অন্য তৃণমূল সাংসদেরাও এপিক কার্ডের ইস্যুতে সংসদীয় অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিশ পেশ করেছেন৷ ভুয়ো ভোটার কার্ড এবং ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যুতে মোদি সরকার-বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকছে গোটা বিরোধী শিবির৷ ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের পুরো বিষয়টি দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতির স্বচ্ছতার সঙ্গে জড়িত৷ এই কারণেই এপিক ইস্যুতে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে বিরোধী শিবিরের তরফে একটি সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে তৃণমূল সূত্রে৷ এই প্রসঙ্গেই শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেন, এটা কোনও একটি রাজনৈতিক দলের ইস্যু নয়৷ এই ইস্যুর সঙ্গে গোটা দেশের নাগরিকদের উদ্বেগ জড়িত৷ দেশে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হতেই হবে৷ এই কারণেই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে৷