প্রতিবেদন : পাহাড়ের কোলে ফোটা অর্কিড এখন ফুটছে বেলপাহাড়ির বুনো ফুলের পাশে। ফলে বিভিন্ন আকারের সুগন্ধী এই ফুলচাষে উৎসাহ পাচ্ছেন এলাকার চাষিরা। বেলপাহাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে পাহাড়, অরণ্য অঞ্চলে সামান্য ধান ও সবজির চাষ হয়। অরণ্যের শালপাতা, পিঁপড়ের ডিম, কন্দ সংগ্রহ করে সংসার চলে পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের। কাজের সন্ধানে স্থানীয় যুবকরা পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। ঝাড়গ্রামের হর্টিকালচার দফতর এবার সেই এলাকায় বিকল্প চাষের নানা উদ্যোগ নিয়েছে। জারবেরা ফুলের চাষে সাফল্য মিলতেই অর্কিড চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিনপুর ২ ব্লকের শিমুলপাল পঞ্চায়েতের বোদাডিহায় গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে গত বছর থেকে অর্কিডের চাষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন-আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের ২৮ লক্ষে হচ্ছে ঢালাই রাস্তা
প্রথম বছরে সফল না হলেও এ বছর গাছে ফুল ফুটেছে। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত হর্টিকালচার দফতরের কর্তারা। গ্রিন হাউসে মাটি-জল ছাড়াই চাষে সাফল্য এসেছে। বেলপাহাড়িতে বিকল্প চাষের দরজা খুলে দিতে পারে এই অর্কিড চাষ বলে মনে করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় রং, বিভিন্ন ধরনের আকার, ঔষধি গুণাগুণ, সুগন্ধির কারণে অর্কিডের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। দীর্ঘকাল সজীব থাকে বলেও বর্তমানে এর ব্যবহার বাড়ছে। বিয়েবাড়ি, উৎসব-অনুষ্ঠানে অর্কিডের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। বাইরে থেকে এতদিন এই ফুল জেলায় আমদানি করা হত। সেই জায়গায় জেলাতেই অর্কিড চাষ হলে ফুলচাষিরা লাভবান হবেন। বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থাও হবে। জলের সমস্যা থাকায় পাহাড়ি জমিতে ফসলের চাষবাস তেমন হয় না। তবে ভবিষ্যতে ফুলচাষই এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা। গত কয়েক বছর জারবেরা চাষে সাফল্য মিলেছে। ঠান্ডা এলাকায় পাহাড়ি অর্কিড চাষে সাফল্য এসেছে। দফতর থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় স্থানীয় চাষিরা অর্কিড চাষে উৎসাহ দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-তল্লাশিতে গিয়ে পুলিশ পিষল সদ্যোজাতকে, নৃশংস-কাণ্ড বিজেপির রাজস্থানে
ঝাড়গ্রাম জেলা হর্টিকালচার দফতরের আধিকারিক সালউদ্দিন খানের কথায়, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় অর্কিড বেশি দেখা যায়। গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে বেলপাহাড়িতেও গত বছর থেকে পরীক্ষামূলক অর্কিড চাষ হচ্ছে। প্রথমবার না ফুটলেও এবার গাছে ফুল এসেছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা খুশি।