সংবাদদাতা, কোচবিহার : বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কারচুপি করলেই চরম বিপদ৷ সমীক্ষার সময় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে তিন ঘর-প্রাপকের নাম তালিকা থেকে বাদ দিল প্রশাসন। কোচবিহার জেলায় দুই ব্লকের আমবাড়ি ও বড়াইবাড়ির দুই বাসিন্দা প্রদীপ সরকার ও অমর সূত্রধর নিজেদের পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও সমীক্ষার সময় ভুয়ো ভাঙা বাড়ি দেখিয়ে সরকারি টাকা ব্যাঙ্কে নিয়েছেন। এরপর নিজের পুরনো বাড়ি মেরামতি শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ফের চালু
এছাড়াও টাকারগাছ রাজারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের যাত্রাপুরের শৈলেন মোদকও পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও ঘরের আবেদন করেছিলেন। যদিও তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা জমা হয়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের প্রতারণায় অভিযুক্তদের নাম বাতিল ও যে দু’জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়েছে তাঁরা টাকা ফেরত না দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে যাঁরা আবাসের ঘর পেয়েছেন, তাঁরা সঠিকভাবে প্রাপ্য টাকা খরচ করছেন কি না সে ব্যাপারে প্রশাসন নজর রাখছে। যারা প্রতারণা করছে, তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৪৭ জন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে পাকা বাড়ি পেয়েছেন। প্রথম কিস্তির ষাট হাজার টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। প্রাপকরা ঠিকভাবে টাকা কাজে লাগিয়ে বাড়ি তৈরি করছেন কি না নজর রাখতে প্রতি ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।