আর নয় আত্ম-ক্ষতি

নানা কারণে আত্ম-ক্ষতির সম্মুখীন হন বহু মানুষ। দিনে দিনে এই প্রবণতা বাড়ছে। হটকারী সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতি হচ্ছে সমাজ, সংসারের। যাতে কেউ আত্ম-ক্ষতির পথে আর পা না বাড়ায়, তার জন্য ১ মার্চ পালিত হয় আত্ম-ক্ষতি সচেতনতা দিবস। কিছুদিন আগেই পেরিয়ে এসেছি দিনটি। এই দিনের লক্ষ্য হল আত্ম-ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং এর চারপাশের মিথ এবং পক্ষপাত দূর করা। লিখলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

আত্মহত্যার চেষ্টা
পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা। অভিনয়-শিল্পী। রূপসী। প্রতিভাময়ী। তবে যোগ্যতা অনুযায়ী পাননি সুযোগ। তা সত্ত্বেও করেছেন গাড়ি-বাড়ি। এক ভাই। তার উচ্চশিক্ষার জন্য জলের মতো খরচ করেছেন টাকা। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর ভাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে একমাত্র দিদির থেকে। বিয়ের পর পেতেছে ভিন্ন সংসার। এক বছরের ব্যবধানে চলে গেছেন মা-বাবা। তাঁদের চিকিৎসার জন্যেও যতটা সম্ভব খরচ করেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু শেষপর্যন্ত সব শূন্য। এই দুনিয়ায় তিনি হয়ে গেছেন সম্পূর্ণ একা। ধীরে ধীরে কাজ কমেছে। অসুস্থতা থাবা বসিয়েছে শরীরে। একটা সময় তাঁর রূপ-যৌবন দেখে অনেকেই হাত বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সম্পর্কই ছাঁদনাতলা পর্যন্ত পৌঁছয়নি। বেশিরভাগ সময় ঘরবন্দি অবস্থায় কাটান অভিনেত্রী। গ্রাস করেছে হতাশা। বন্ধুবান্ধব ছিলেন কয়েকজন। কিন্তু তার ছিঁড়ে গেছে কবেই। ফলে অভিনেত্রীর মনের কথা শোনার কেউ নেই। একা একা গুমরে কাঁদেন। ভাবেন— এই জীবন নিয়ে কী করব! একদিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে বাঁচান কয়েকজন সহৃদয় প্রতিবেশী। তাঁরাই অভিনেত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক একাকিত্ব দূর করতে বিশেষ পরামর্শ দেন। প্রতিবেশীদের উৎসাহে অভিনেত্রী খোলেন নাচের স্কুল। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এখন তিনি দিব্য আছেন। একটা সময় গুটিয়ে থাকলেও, এখন তিনি মেলামেশা করেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে। অংশ নেন পাড়ার পুজোয়, রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে। হতাশা, একাকিত্ব দূরে সরিয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন তিনি।
ধাক্কা লাগে বুকে
আরেকজনের কথা বলা যাক। বছর পঁচিশের যুবক। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কর্মী। পাঁচ বছর আগে জড়িয়ে পড়ে একটি সম্পর্কে। প্রথম চার বছর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। দেখা করা, রেস্তোরাঁয় বসা, কাছেপিঠে ঘোরাঘুরি– রঙিন ছিল দিনগুলো। একদিন যুবকটি বিয়ের প্রস্তাব দিতেই বেঁকে বসে মেয়েটি। যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ধরে না ফোন। উত্তর দেয় না হোয়াটসঅ্যাপে। কিছুদিন পর জানা যায়, সামনেই মেয়েটির বিয়ে। হবু বর আমেরিকায় কর্মরত। বিয়ের পর দু’জন ওই দেশেই উড়ে যাবে। শুধু কি তাই? হবু বরের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক বেশ কয়েক বছরের। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির যুবকটি ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। সবকিছু জানার পর জোর ধাক্কা লাগে বুকে। বুঝতে পারে, ঠকানো হয়েছে তাকে। সে কিন্তু মন থেকেই মেয়েটিকে ভালবেসেছিল। মেয়েটি তার সঙ্গে করেছে জাস্ট টাইমপাস। বন্ধুবান্ধবের কাছে মুখ দেখাতে পারে না যুবকটি। একদিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে নিজের শরীরে। রক্তপাত। অ্যাম্বুল্যান্স। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হসপিটালে। বেঁচে যায় যুবকটি। বাড়িতে ফেরার পর পরিবারের সবাই যুবকটিকে বোঝান— একজন মেয়ে গেছে তো কী হয়েছে? ভাল মেয়ের অভাব নেই দুনিয়ায়। স্কুল, কলেজের বন্ধু এবং অফিসের সহকর্মীরাও মানসিকভাবে যুবকের পাশে দাঁড়ায়। কিছুদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিজের পছন্দের একটি মেয়ের সঙ্গে সংসার পাতে সেই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির যুবক। এখন ভালই আছে।

আরও পড়ুন-রবিবার সকালে সন্তোষপুর স্টেশনে ভয়াবহ আগুন

সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ
অভিনেত্রী এবং মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির যুবক— দু’জনেই আত্ম-ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে বহু মানুষ হতাশা, একাকিত্ব সহ নানা কারণে আত্ম-ক্ষতির সম্মুখীন হন। দিনে দিনে এই প্রবণতা বাড়ছে। মনে আঘাত লাগলেই আগুপিছু না ভেবে হটকারী সিদ্ধান্ত নেন। ফলে নিজের চরম ক্ষতি তো হচ্ছেই, পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে সংসারের এবং সমাজের। আত্ম-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় কীভাবে, এই নিয়ে চলছে চর্চা। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ১ মার্চ পালিত হচ্ছে আত্ম-ক্ষতি সচেতনতা দিবস হিসেবে। এর লক্ষ্য হল আত্ম-ক্ষতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং এর চারপাশের মিথ এবং পক্ষপাত দূর করা, ভয় এবং নীরবে কষ্ট ভোগকারী বা একা বোধকারী মানুষের সংখ্যা হ্রাস করা। ওই দিন বিশ্বব্যাপী আয়োজিত হয় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, আলোচনা। যাতে আত্ম-ক্ষতির প্রবণতা কমানো বা বন্ধ করা যায়।
চাপের কাছে নতি স্বীকার
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় দুই মিলিয়ন আমেরিকান আত্ম-ক্ষতির সঙ্গে জড়িত। প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ তাঁদের জীবদ্দশায় আত্ম-ক্ষতি করেন। যাঁরা আত্ম-ক্ষতি করেন, তাঁরা বলেন যে, এটা তাদের নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি দেয় এবং উত্তেজনা থেকে মুক্তি দেয়। আত্ম-ক্ষতি সচেতনতা দিবসে জনসাধারণ তাঁদের আত্ম-ক্ষতির টুকরো টুকরো গল্পগুলো ভাগ করে নিতে পারেন, যা তাঁদের এমন একটি সম্প্রদায় খুঁজে পেতে সাহায্য করে। যাঁরা এটা বোঝেন এবং কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোও আত্ম-ক্ষতি এবং আত্ম-ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত উদ্যোগ নেয়, এমনকি কেউ কেউ এই দিনে বিনামূল্যে থেরাপি সেশনও অফার করে। যাঁরা এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন তাঁদের কাছে আত্ম-ক্ষতি মোকাবিলা করার বিষয়ে আরও ভাল ধারণা পেতে পারেন। মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশনের একটি জরিপ অনুসারে, বহু তরুণ-তরুণী পরিপূর্ণতা অর্জনের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে আত্ম-ক্ষতিতে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা পোষণ করেন। এখন দেওয়া যাক আত্ম-ক্ষতি এড়াতে কিছু কার্যকর টিপস।
প্রচলিত ধারণাগুলো দূর করা
আত্ম-ক্ষতি সচেতনতা দিবসের উৎপত্তি এবং ইতিহাস সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। বিশেষ দিনে আত্ম-ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মানুষ কমলা রঙের ফিতে, কব্জিতে প্রজাপতি, অথবা পুঁতির ব্রেসলেট পরে। কমলা রঙের ফিতে ভুল বোঝাবুঝির সমস্যার আশার প্রতীক। এর উদ্দেশ্য হল আত্ম-ক্ষতি সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণাগুলো দূর করা এবং চিকিৎসা পেশাদারদের এই সম্পর্কে শিক্ষিত করা। মনে রাখতে হবে, নিজের ক্ষতি করার স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই আত্ম-ক্ষতি শুরু হয়। অনেকেই নিজেকে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেন এবং ব্যথা সৃষ্টি করার জন্য দেওয়ালে ঘুসি মারেন বা আঘাত করেন। অন্যান্য উদাহরণ হল বিষাক্ত রাসায়নিক পান, ত্বকে তীব্র চাপ দেওয়া, চুল টানা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষত নিরাময়ে হস্তক্ষেপ করা। সতর্কতামূলক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বিচ্ছিন্নতা; সামাজিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলা এবং ক্ষত লুকানোর জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরা। আরও লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত জায়গায় ক্ষুরের মতো ধারালো যন্ত্র খুঁজে পাওয়া, বাহু, পেট এবং পায়ে ক্রমাগত কাটার অজুহাত দেখানো এবং দীর্ঘ সময় ধরে বাথরুম বা শোবার ঘরে নিজেকে আটকে রাখা।

আরও পড়ুন-সংগঠনের উদ্যোগের সাফল্য কামনা করে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা, ফেডারেশনের স্বাস্থ্যশিবিরে বিপুল উৎসাহ পরিচালক-প্রযোজকদের দুরন্ত মেলবন্ধন

কিশোর-কিশোরীরাই এগিয়ে
আত্ম-ক্ষতির ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীরাই এগিয়ে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রায় ১৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী এবং ১৭-৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্ম-ক্ষতির অনুশীলন করেছে। যাঁরা আত্ম-ক্ষতির কার্যকলাপে লিপ্ত হন, তাঁদের আত্মহত্যার চেষ্টা করার সম্ভাবনা প্রায় সাড়ে তিনগুণ বেশি থাকে। বিষণ্ণতা এবং আত্ম-ক্ষতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একসঙ্গে চলে। তবে এটা অবশ্যই বলা উচিত যে, মানুষের আত্ম-ক্ষতির আরও অনেক কারণ রয়েছে। এই দুষ্টচক্রটির পুনরাবৃত্তি হয়। কারণ, আত্ম-ক্ষতির কাজের পরে ব্যক্তি লজ্জা বা অপরাধবোধে ভোগেন। এর ফলে মনের গভীরে তীব্র যন্ত্রণা দেখা দেয়, যা তাঁদের আবার আত্ম-ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়। এটা লজ্জা এবং অপরাধবোধের একটি ঘূর্ণায়মান চক্র, যার পরে স্বস্তি এবং মানসিক মুক্তি আসে। আত্ম-ক্ষতি সচেতনতা দিবসের লক্ষ্য এই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাওয়া এবং চক্রটি ভেঙে ফেলা। মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন কারণে মানুষ নিজের ক্ষতি করে। যার মধ্যে রয়েছে দুঃখ, রাগ বা অপরাধবোধের মতো কঠিন আবেগের সঙ্গে মোকাবিলা করা। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা থেকে স্বস্তির অনুভূতি। মুখে বলতে পারে না পারার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া।
আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া। ভুললে চলবে না, আত্ম-ক্ষতি একটি সুস্থ মোকাবিলার পদ্ধতি নয় এবং পেশাদার সহায়তা ব্যক্তিদের তাঁদের অনুভূতি পরিচালনা করার জন্য নিরাপদ, আরও কার্যকর উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে। আত্মক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে কী কী করণীয়?
বন্ধুর খোঁজখবর নিতে হবে
কখনও কখনও, বন্ধুদের দ্বারা বেষ্টিত থাকা সত্ত্বেও মানুষ একা বোধ করতে পারে। আত্ম-আঘাত সচেতনতা দিবস উদযাপন করার সঙ্গে সঙ্গে এমন কোনও বন্ধুর খোঁজ নিতে হবে, যিনি হয়তো সংগ্রাম করছেন। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে হবে যে, আপনি তাঁদের জন্য আছেন। তাঁর কথা শুনুন। ভাব বিনিময় করুন।
নিজেকে কাঁদতে বা ঘুমাতে দিন
কান্নার ফলে এন্ডোরফিন এবং অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিক চাপ উপশমকারী। মেজাজ উন্নত করতে পারে, অস্বস্তি কমাতে পারে এবং শিথিলতা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এটা আবেগ বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। অধিকন্তু, ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং শক্তির স্তর পুনরুদ্ধার করে।
নিজের আবেগ সম্পর্কে কথা বলা
অনেকেই তাঁদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন এবং এই বিষয়ে একটিও কথা বলেন না। তবে, আপনার আবেগ স্বীকার করা দীর্ঘমেয়াদে সাহায্য করতে পারে। বন্ধু, পরিবার বা অন্য কারো সঙ্গে সম্প্রতি আপনার কেমন কথাবার্তা হয়েছে বা হচ্ছে, সেটা স্মরণ করতে পারেন। যদি আপনার নিজের ক্ষতি করার ইচ্ছা হয়, তাহলে তা লুকানোর পরিবর্তে, কারও মুখোমুখি হোন।
কাগজে লিখুন বা আঁকুন
কখনও কখনও মানুষ ছোট ছোট জিনিস বা বিষয় নিয়ে বিরক্ত বোধ করে এবং তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করতে অসুবিধা হয়। এখানে, আবেগ সম্পর্কে লেখা শান্ত এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সাহায্য করতে পারে। মুহূর্তের উত্তাপে কোনও ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে, অনুভূতিগুলি লিখে রাখা উচিত।
কলঙ্ক এবং ভুল বোঝাবুঝি
আত্ম-ক্ষতির সঙ্গে সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হল এর সঙ্গে সম্পর্কিত কলঙ্ক এবং ভুল বোঝাবুঝি। আত্ম-ক্ষতির শিকার অনেক মানুষ সমর্থনের পরিবর্তে সমালোচনার মুখোমুখি হন, যার ফলে তাঁদের পক্ষে সাহায্য চাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। নিজেদের এবং অন্যদের শিক্ষিত করে, একটি আরও সহানুভূতিশীল এবং বোধগম্য সমাজ তৈরি করতে হবে, যেখানে লোকেরা সাহায্যের জন্য পৌঁছাতে নিরাপদ বোধ করে।
কমলা রঙের ফিতে
কমলা রঙের ফিতেটি আত্ম-আঘাত সচেতনতা দিবসের অফিসিয়াল ফিতে। আপনি আপনার পোশাকে একটি কমলা রঙের ফিতে যুক্ত করতে পারেন, যাতে আপনি এই উদ্দেশ্যের প্রতি সমর্থন জানাতে পারেন এবং বোঝাতে পারেন যে আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য একজন নিরাপদ ব্যক্তি।
পেশাদারের সাঙ্গে কথা
যদিও যারা নিজের ক্ষতি করে তাদের প্রায়শই এমন বন্ধু এবং সহায়তা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় যার উপর তারা নির্ভর করতে পারে, একজন সার্টিফায়েড পেশাদারের সাহায্যের চেয়ে ভাল আর কিছুই নেই। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ ঘন ঘন কাটা বা অন্যান্য আত্ম-ক্ষতির অভ্যাসে লিপ্ত হন, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সঙ্গে কথা বলার জন্য নির্দ্বিধায় সাইন আপ করুন যিনি নিজেকে ক্ষতি না করেই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ পেতে সাহায্য করতে পারেন। যদি পরিচিত কেউ আত্ম-ক্ষতির সঙ্গে লড়াই করে থাকেন, তাহলে সাহায্য পাওয়া যাবে। সরকারের টেলি-মানস (টেলি মেন্টাল হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং অ্যাক্রোস স্টেটস) উদ্যোগ বিনামূল্যে এবং গোপনীয় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করে। আপনি ১৪৪১৬ অথবা ১-৮০০-৮৯১-৪৪১৬ নম্বরে কল করে কাউন্সেলিং এবং নির্দেশনার জন্য প্রশিক্ষিত পেশাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কাউকে একা তাঁদের সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হবে না। সহায়তা পাওয়া যায় এবং পুনরুদ্ধার সম্ভব।

Latest article