চিনা আবির : তল্লাশি গোয়েন্দাদের

এই চিনা আবিরের পর্দাফাঁস করতেই এবার ময়দানে গোয়েন্দারা। অভিযোগ, চিন থেকে চোরাপথে পাচার হওয়া আবির আসছে রাজ্যে।

Must read

প্রতিবেদন : চিনা মাঞ্জার পর এবার চিনা আবির। এই চিনা আবিরের পর্দাফাঁস করতেই এবার ময়দানে গোয়েন্দারা। অভিযোগ, চিন থেকে চোরাপথে পাচার হওয়া আবির আসছে রাজ্যে। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। সেই চক্র ফাঁস করতেই দোল ও হোলির আগে তৎপর রাজ্য ও কলকাতার গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই জায়গায় জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে আবির, রং বিক্রি। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই দেশের কয়েকটি ব্যবসায়িক সংস্থা চিন থেকে রং বা আবির আমদানি করে থাকে। তবে সব রং সস্তা বা তার মান খারাপ, এমনটা নয়। ভাল মানের চিনা রং, আবিরও আমদানি করা হয়। কিন্তু গোয়েন্দাদের কাছে খবর, চিন থেকে চোরাপথে সস্তার আবিরও পাচার হচ্ছে রাজ্যে। জানা গিয়েছে এই চিনা আবির চিন থেকে নেপাল হয়ে আসে উত্তরবঙ্গ ও বিহারে। এরপর তা এসে পৌঁছয় বড়বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী এই সস্তার চিনা আবির মজুত করেন কলকাতার গোডাউনগুলিতে। শুধু তাই নয়, অনেক সময়ই দেখা যায় অন্য আবিরের সঙ্গে মেশানো হয় চিনের সস্তার আবির। আবার আলাদাভাবেও চিনের আবির বড়বাজার থেকে কিনে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবেই দেশীয় আবিরের থেকে চিনা আবির ও রঙের দাম অনেকটাই কম। ফলে তার চাহিদা ব্যবসায়ীদের কাছে থাকে।

আরও পড়ুন-ব্রাত্যর বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার পলাশের নির্দেশেই, জেরায় স্বীকার এসএফআই কর্মীর

অভিযোগ, এই আবির যথেষ্ট ক্ষতিকরও। লাল, গোলাপি ও নীল আবির তৈরি হয় সিন্থেটিক রং মিশিয়ে। এ ছাড়াও আবিরের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় ট্যালকম পাউডার, সীসা ও পারদের মতো রাসায়নিক। ফলে তা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের পক্ষেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেই কারণে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে বড়বাজারের গোডাউনগুলি।

Latest article