মনরেগা-সহ বাংলার সব বকেয়া মেটান অবিলম্বে

Must read

সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: মনরেগা-সহ (mgnrega) অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের খাতে পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য পাওনা টাকা অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হোক— কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি৷ পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য পাওনা বিপুল অঙ্কের টাকা আটকে রাখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে গ্রাম-বাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে৷ এর জেরে থমকে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার উন্নয়ন, মোদি সরকারের কাছে পেশ করা সুপারিশে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ সপ্তগিরি উলকার নেতৃত্বাধীন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি৷ এই কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ— লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভা সাংসদ সামিরুল ইসলাম৷ রাজ্যের পাওনা টাকা দেওয়ার বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ প্রসঙ্গে বুধবার তৃণমূলের সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, বাংলার ন্যায্য বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য আমি কমিটির প্রতিটি সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম৷ এই বিষয়টি নিয়ে কমিটিতে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছিল৷ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মনরেগা-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের ন্যায্য বকেয়া টাকার দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তারপরেও তাদের দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি৷ কেন রাজ্যের ন্যায্য পাওনা টাকা বকেয়া রাখা হয়েছে, সেই বিষয়ে যখনই কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তখনই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে মনরেগা-সহ (mgnrega) অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে৷ এই আবহে মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দেন, কেন্দ্রীয় সরকার বারবারই বলছে রাজ্যে মনরেগা প্রকল্পে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড আছে৷ আমাদের দাবি হল, ২৫ লক্ষ লোক যদি দুর্নীতি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে ২৫ লক্ষ লোকের জন্য বাংলার ১০ কোটি মানুষের সঙ্গে শত্রুতা করা যায় না, তাঁদের বঞ্চিত করা যায় না৷ এই আবহে বুধবার সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অভিমত, যেখানে অবিলম্বে মনরেগা-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের খাতে বাংলার বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপারিশ করা হয়েছে৷ এই সুপারিশে বাংলার বকেয়া টাকা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের উপরে চাপ আরও বাড়বে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান৷

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের প্রতিহিংসায় তকমা হারাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

Latest article