নন্দীগ্রাম দিবসে সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিনই আবার কৃষক দিবস। কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। নন্দীগ্রাম নিয়ে তাঁর বার্তা, ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম দিবসে সকল শহিদের প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম। নন্দীগ্রামে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে গণহত্যা ও গণধর্ষণের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই। নন্দীগ্রাম দিবসে নিহত শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে জানাই অন্তরের গভীর প্রণতি।
২০০৭ সালের আজকের দিনটি ছিল বাংলার ইতিহাসে এক কালো দিন। সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে প্রাণ-হারান ১৪ জন নিরীহ আন্দোলনকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের স্মৃতিদের উদ্দেশে স্মরণ করেন। তিনি লেখেন, মাটি বাঁচানোর সেই মরণপণ সংগ্রাম আমরা ভুলিনি, কোনওদিন ভুলব না।
নন্দীগ্রাম দিবসে সেই জমি আন্দোলনের সকল বীর শহিদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য।
২০০৮ সাল থেকেই দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে থাকে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল।
নন্দীগ্রাম দিবসের পাশাপাশি এদিন কৃষক দিবস হিসেবেও দিনটি পালিত হয়। এই বিশেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, নন্দীগ্রামে কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি আমার গভীর সমবেদনাসহ সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমাদের কৃষকরা সারাবছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেন। আমি তাঁদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাই। তাঁরাই আমাদের গর্ব।
তাই আমাদের সীমিত ক্ষমতায় যতটা করা সম্ভব আমরা বাংলার চাষি ভাই-বোনেদের জন্য করার চেষ্টা করি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানান, ‘কৃষকবন্ধু’ (নতুন) প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা, কর্মরত কৃষকদের মৃত্যুতে মৃত্যুজনিত সহায়তা, শস্য বিমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচ বহন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক সহায়তা, ফসলের অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা, কৃষক পেনশন প্রদান, ১৮৬টি ‘কিষান মান্ডি’ চালু করা, বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্র প্রদান— সবকিছুই আমরা করেছি।
আরও পড়ুন-কন্যাশ্রীর পর এবার বিশ্বসেরা স্বাস্থ্যসাথীও, মান্যতা দিল আন্তর্জাতিক চিকিৎসক মহল