মোদিরাজ্যে খুনির স্বৈরাচার, নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির ধাক্কায় মৃত ১, আহত ৬

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ধাক্কা দেওয়ার পর গাড়ি থেকে বেরিয়ে রীতিমত ঔদ্ধত্বের সঙ্গে চিৎকার করতে শুরু করেছিলেন অভিযুক্ত।

Must read

বৃহস্পতিবার রাতে কারেলিবাগে (Gujrat) রক্ষিত চৌরাসিয়া নামের এক তরুনের গাড়ির ধাক্কায় স্কুটিচালক এক মহিলার মৃত্যু হয় এবং ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ধাক্কা দেওয়ার পর গাড়ি থেকে বেরিয়ে রীতিমত ঔদ্ধত্বের সঙ্গে চিৎকার করতে শুরু করেছিলেন অভিযুক্ত। তাঁকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, ‘আরও এক রাউন্ড হয়ে যাক!’ তারপর তিনি ‘ওম নমঃ শিবায়’ বলে চিৎকার করেন। ‘নিকিতা’ বলে কোন নামে ডাকতে শোনা যায় তাঁকে। তবে কে এই ‘নিকিতা’ সেটা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশকে রক্ষিতের এক বন্ধু জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর নাম ‘নিকিতা’ ভেবেছিলেন অভিযুক্ত। ঘটনার আকস্মিকতায় সেই নাম নেন তবে এই যুক্তি মোটেও সত্যি নয়।

আরও পড়ুন-খেলত ফাগু বৃন্দাবন-চান্দ ঋতুপতি মনমথ মনমথ ছান্দ

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই তরুণ। যদিও গ্রেফতারির পর অভিযুক্ত জানিয়েছেন তিনি মদ খাননি। স্কুটির সঙ্গে তাঁর গাড়ির অল্প ধাক্কা লেগে এয়ারব্যাগ খুলে যায়। তারপর তিনি কিছুই দেখতে পাননি। স্কুটিকে পাশ কাটিয়ে ডানদিক যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। রাস্তায় গর্ত ছিল এবং পাশে অন্য একটি স্কুটি আর গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। তার ফলেই চলন্ত স্কুটিতে অল্প ধাক্কা লাগে তাঁদের গাড়ির। তারপরই এয়ারব্যাগ খুলে যায়। গাড়ির গতি তখন ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি। হোলি উপলক্ষে ভাং খেয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় হেমালিবেন প্যাটেল নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন দুই শিশুসহ আরও ৪-৫ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত জানিয়েছেন তিনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। প্রশ্ন উঠছে, সাহায্য করতে চাইলেই কী এভাবে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো যায়? যে ঔদ্ধত্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশের কাছে তারই বা কী ব্যাখ্যা আছে? ‘ওম নমঃ শিবায়’ বলে চিৎকার করলেই কী খুনের অভিযুক্তের সঙ্গে নরম সুরে কথা বলা যায়? তবে এই ঘটনায় দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। সকলেরই দাবি, খুন করে ‘ওম নমঃ শিবায়’ বলে চিৎকার করা একজন রাজনৈতিক চরমপন্থী ছাড়া কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে কী প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেই সাধারণ মানুষের সুরক্ষা বলে কিছু নেই? খুনের পর ধর্মীয় বাণী শোনালে পুলিশের গলায় ওঠে নরম সুর?

Latest article