প্রতিবেদন : ভোটার পরিচয়পত্রের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে ঝড় তুলবে তৃণমূল। যে কোনও মূল্যে সংসদের চলতি অধিবেশনেই ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে হবে সরকারকে, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ফের জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ হোলি এবং দোলযাত্রার কারণে পরপর চারদিন ছুটির পরে সোমবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব৷ এই সপ্তাহেই সরকারকে সংসদে আলোচনা করতে হবে ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যু ছাড়াও একাধিক বিষয়ে সংসদে ঝড় তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলের অবস্থান স্পষ্ট করে রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, আলোচনার ফর্ম যাই হোক না কেন, সংসদে আলোচনা হওয়াটা জরুরি৷ এই ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন নেই৷ সরকারকে এটা বুঝতে হবে৷ সোমবার আলোচনা করা সম্ভব না হলে মঙ্গলবার সংসদে ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যুতে আলোচনা করুক সরকারপক্ষ৷
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের দাবির সঙ্গে একমত কংগ্রেস, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি (শরদ), শিবসেনা (উদ্ধব), আম আদমি পার্টি-সহ গোটা বিরোধী শিবির৷ সোমবারই সব আলোচনা বন্ধ করে সংসদে ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি-সহ মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের অন্যান্য দলগুলি৷ এই প্রসঙ্গেই বিরোধী শিবিরের দাবি, ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের ইস্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু জাল আধার কার্ড দিয়ে ভোটার কার্ড তৈরির বিষয় নিয়েও সংসদে আলোচনা করতে হবে৷ এই বিষয় নিয়ে ট্রেজারি বেঞ্চের উপরে লাগাতার চাপ তৈরি করছে বিরোধী দলগুলি৷ এই অবস্থায় কিছুটা হলেও সুর নরম করতে বাধ্য হচ্ছে শাসক শিবির৷ সরকারি ভাবে বিরোধীদের দাবি মানা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য না করা হলেও শাসক শিবিরের একাধিক প্রভাবশালী নেতা-নেত্রী জনান্তিকে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন যে বিরোধী শিবিরের দাবি পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত৷
এসবের মাঝেই আগামী সপ্তাহের সংসদীয় অধিবেশনে ফের বিরোধী দলগুলির আক্রমণের মুখে পড়তে পারে শাসক শিবির৷ এই সপ্তাহে লোকসভায় কৃষি, রেল ও জলশক্তি মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হবে৷ এর পাশাপাশি আলোচনা করা হতে পারে সামাজিক ন্যায়বিচার, বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে যে কোনও একটি মন্ত্রক নিয়ে৷ সোমবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণ দিতে পারেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব৷ মঙ্গলবার রাজ্যসভায় স্বাস্থ্য এবং বুধবার মণিপুর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷ স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংক্রান্ত আলোচনায় মোদি সরকারের তথাকথিত জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করে তীব্র সমালোচনা করা হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে, রবিবার এমনই দাবি দলীয় সূত্রের৷