প্রতিবেদন: দেশের কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল (সিএজি) নিয়োগের বর্তমান পদ্ধতিকে সংবিধানের পরিপন্থী ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) হয়েছে শীর্ষ আদালতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া ও ব্যাখ্যা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটিশ্বর সিং-এর বেঞ্চ এই বিষয়ে ‘সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন’-এর দায়ের করা মামলায় নোটিশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন-মণিপুর ও রেলে দুর্গতি, সরব তৃণমূলের ২ মহিলা সাংসদ
মামলাকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতে সওয়াল করে বলেন, সিএজি-র প্রতিবেদনগুলির সংখ্যা কমছে এবং কর্মীসংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নিরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখা হচ্ছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। উদাহরণ হিসেবে তিনি মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে সিএজি-র নিরীক্ষা কার্যক্রম আটকে দেওয়া হচ্ছে। ভূষণ আরও বলেন যে, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই ডিরেক্টর এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে, যাতে তাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায়। ঠিক একই ধরনের নির্দেশনা সিএজি-র ক্ষেত্রেও প্রয়োজন। এটি প্রতিষ্ঠানের (সিএজি) স্বাধীনতার প্রশ্ন। যদি নিয়োগ সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে তাদের স্বাধীনতা ব্যাহত হবে। এই জনস্বার্থ মামলায় আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে যে, সিএজি-র নিয়োগ রাষ্ট্রপতির দ্বারা একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিটির পরামর্শে করা হোক, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের প্রধান বিচারপতি থাকবেন এবং এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হতে হবে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে সিএজি-র নিয়োগ অন্যান্য সংস্থা, যেমন তথ্য কমিশন এবং কেন্দ্রীয় নজরদারি কমিশনের (সিভিসি) নিয়োগের অনুরূপ হওয়া উচিত।বিচারপতি সূর্যকান্ত মন্তব্য করেন, বিষয়টি তিন সদস্যের বেঞ্চে শুনানি হওয়া প্রয়োজন। গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকেও অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।