সংবাদদাতা, কোচবিহার : বিএসএফ ও বিজিবির বাদানুবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ফুলকাডাবড়ি পঞ্চায়েতের নাকারের বাড়ি সীমান্ত। বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের নির্মাণ রুখে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাশাপাশি, সীমান্তে ভারতীয়রা ফের তাঁদের জমিতে বেড়া দিতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিএসএফ সীমান্তে থাকার পরেও রাত হলে অনুপ্রবেশ ও গোরুপাচারের চেষ্টা করে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা৷ তাই বেড়া দিতে গেলে বিজিবি বাধা দিচ্ছে। এমনকী বিএসএফের বাধা এড়িয়ে বিজিবি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করতে গেলে ব্যাপক বচসা হয়। মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারী বলেন, বিএসএফের নিরাপত্তা বাড়াতে আরও জওয়ান প্রয়োজন। প্রয়োজনের তুলনায় জওয়ান কম। সেজন্যই বারংবার বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা হামলা করছে। সীমান্ত এলাকায় বারংবার অশান্তিতে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত।
আরও পড়ুন-আত্মপ্রচার প্রধানমন্ত্রীর, ওয়াকআউট বিরোধীদের
অভিযোগ, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে দেড়শো মিটারের মধ্যেই ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজিবি৷ বারংবার পতাকা বৈঠকের জন্য ডাকলেও সাড়া দেয়নি বিজিবি। অভিযোগ, সোমবার গ্রাউন্ড জিরোয় বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বিজিবি এবং বাংলাদেশিরা বাধা দিতে আসে। বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে বিতণ্ডা বাধে। পরে টাওয়ার নির্মাণ বন্ধের শর্তে কাঁটাতার না লাগিয়ে ফিরে আসে বিএসএফ।
সম্প্রতি বিএসএফের সঙ্গে একাধিক সঙ্ঘর্ষ ঘটেছে৷ ১১ জানুয়ারি মাথাভাঙার বুড়াবুড়ি সীমান্তে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ বাধা দেয়। দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রে এক জওয়ানকে জখম করে। বিএসএফ গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়৷ ২১ জানুয়ারি দিনহাটার গীতালদহের নারায়ণগঞ্জে পাচারকারীদের ঢিলে জখম হন এক জওয়ান৷ ১৩ ফেব্রুয়ারিতে বিএসএফের ওপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি তুফানগঞ্জের চড়বালাভূতে সীমান্তে কাঁটাতার কাটার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷