২৮৬ দিন পর পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস – বুচ উইলমোর (Sunita Williams – Butch Wilmore)। বুধবার ভোর ৩টে ২৭ নাগাদ তাঁরা ল্যান্ড করলেন সমুদ্রে। তবে পৃথিবীতে ফিরলেও এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না মহাকাশচারীদের। ৯ মাস ধরে মাধ্যাকর্ষণের বাইরে থাকার পর এখন মাটিতে পা ফেলাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ সুনীতাদের জন্য।
চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন শারীরিকভাবে এই দুই নভশ্চর অনেকটাই দুর্বল থাকবেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেখা গেল সত্যিই ব্লাড প্রেসার থেকে শুরু করে দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা, সবেতেই বেশ কিছুটা অবনতি হয়েছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ মাস হাড় এবং পেশির ক্ষয়, সহনশীলতার অভাব, ভারসাম্য বজায় রাখা-সহ নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন সুনীতারা। বিশেষ করে পায়ের জোর একদম কমে যাওয়ায় এখনই হাঁটতে পারবেন না যুগলে। পৃথিবীতে ফেরার পর এই দুই মহাকাশচারীকে আবার তাঁদের শরীরকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য তৈরি করতে হবে। তাই দু’জনকেই অন্তত প্রথম ৪৫ দিন কাটাতে হবে ক্রু-কোয়ার্টারে।
পৃথিবীতে সফল অবতরণ, আগামী ৪৫ দিন কী কী ঘটতে চলেছে সুনীতাদের সঙ্গে?
• দুই মহাকাশচারীর দেহের অ্যাম্বুলেশন, নমনীয়তা এবং পেশিশক্তি পুনরুদ্ধারের উপর জোর দেওয়া হবে
• প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে করে চলবে বিভিন্ন শারীরিক কসরত, ফিজিওথেরাপি
• এখনই বাইরের কারোর সংস্পর্শে আসা যাবে না
• নিয়মিত দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা করা হবে
• হাড়ের দক্ষতা বাড়াতে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার দেওয়া হবে, ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে প্রোটিনের মাত্রা
• প্রত্যেকদিন নিয়ম করে রক্তচাপ পরীক্ষা এবং মস্তিষ্কের স্ক্যান করা হবে
• স্বাভাবিক হাঁটাচলা করানোর আগে ওয়াকারে অভ্যাস করতে হবে
• মানসিক চাপ ও ইমোশনাল ইমব্যালেন্স কাটাতে নিয়মিত কাউন্সিলিং হবে
• স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে গান শোনানো বা সিনেমা দেখানো হবে
• কসমিক রেডিয়েশনের প্রভাব কাটাতে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলবে
বুধবার ভারতীয় সময় ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ তাঁদের নিয়ে মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করে। তাঁদের স্থলভাগে আনার জন্য আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল মার্কিন নৌ সেনা বাহিনীর জাহাজ। আপাতত কয়েকদিন হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টারে থাকবেন দুই মহাকাশচারী।
আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে ঘরে ফিরলেন সুনীতারা