প্রতিবেদন: রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ইডির মামলাগুলি যে মূলত বিরোধীদের প্রতি প্রতিহিংসাবশত, তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলল আবার। কেন্দ্রীয় অর্থ ও রাজস্বমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংসদকে জানানো হয়েছে যে গত ১০ বছরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক, বিধান পরিষদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৯৩টি মামলা নথিভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন-মৃত্যুমিছিল, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর, ফের অবরুদ্ধ হল গাজা
কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, গত ১০ বছরে মাত্র দুটি ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত করা গিয়েছে। এই তথ্যটি অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী কেরলের সাংসদ এ এ রহিমের উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে জানান।
কেরলের সাংসদের প্রশ্ন ছিল, গত ১০ বছরে সাংসদ, বিধায়ক এবং স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ইডি মামলার সংখ্যা কত? দল, রাজ্য এবং বছর অনুযায়ী কতগুলি মামলা শ্রেণিভুক্ত? দোষী সাব্যস্ত হওয়া, খালাস পাওয়া এবং মুলতুবি হওয়া তদন্তের বছর অনুযায়ী কী তথ্য রয়েছে? বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা বৃদ্ধির তদন্ত এবং এই প্রবণতার যৌক্তিকতা কতটা? ইডি তদন্তে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পর্কে এই প্রশ্নগুলি করা হয়। প্রথম প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানান, সাংসদ, বিধায়ক এবং স্থানীয় প্রশাসকদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত ইডি মামলার তথ্য তাদের দল ও রাজ্য অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। তবে তিনি গত ১০ বছরে বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক, বিধান পরিষদ সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতা বা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার বছর অনুযায়ী বিবরণ দিয়েছেন। সর্বাধিক সংখ্যক মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কালে। সেইসময় ৩২টি মামলা নথিভুক্ত হয়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে, ইডির দায়ের হওয়া ১৯৩টি মামলার মধ্যে মাত্র দুটিতে দোষী সাব্যস্ত করা গিয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি মামলা বৃদ্ধি ও এর যৌক্তিকতা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে দায় এড়িয়ে মন্ত্রী জানান, এই ধরনের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।