কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর : নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে বহরমপুর রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৮৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত অর্থমূল্যের ৩৬টি জনমুখী প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।
আরও পড়ুন-মন্ত্রীর উদ্যোগে শিশুর হার্ট অপারেশন
এছাড়া নলবাহিত পানীয় জল সংযোগ প্রকল্পে ১৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে, জেলার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। অন্যদিকে জেলার পর্যটনের ওপর জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গায় যে সমস্ত গাইড রয়েছেন তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ট্যুরিজম সেন্টার করতে এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের প্রচার করতে নির্দেশ দেন তিনি। অন্যদিকে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য রেজিনগরে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু হচ্ছে। বিড়ি শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে জঙ্গিপুর বিধায়ক জাকির হোসেনকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিড়ি শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিমার টাকা দেওয়ার উদ্যোগ শুরু
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য উদ্যোগ নিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিকদের সার্টিফিকেশন দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। যাতে তারা দেশ-বিদেশে কাজ পায়। অন্যদিকে নসিপুর রেল ব্রিজ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুর্শিদাবাদ থেকে দিল্লি যাওয়ার রেল সড়কপথ রেল দফতর যখন সম্পূর্ণ করছে না সেই সময় বকেয়া জমির জন্য যে কাজ আটকে রয়েছে সেই ৪০-৪৫টি পরিবারকে বসিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেন মুর্শিদাবাদ তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান ও মুর্শিদাবাদ জেলাশাসককে।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় এবার সিনার্জি
প্রসঙ্গত, নসিপুর রেলব্রিজের মাত্র কয়েক একর জায়গার জন্য ৯৫% কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও ওই লাইন চালু হয়নি। জেলার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নসিপুর রেলব্রিজ সমাপ্ত করার উদ্যোগ নিলেন। অন্যদিকে জঙ্গিপুর মহকুমায় গঙ্গা ভাঙন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বাড়িঘর না করাই ভাল।
ভাঙন এলাকা ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া জেলায় ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে বলা হয় জেলা প্রশাসনকে। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ মানুষ যাতে আরও বেশি পায় সেদিকে নজর দিতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।