বালুচরি, প্রশিক্ষিত ২০ শিল্পীকে সরকারি শংসাপত্র দিলেন মন্ত্রী

২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া সফরে এসে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন, তাঁতশিল্পীদের নিয়ে বালুচরি শাড়ির প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করার

Must read

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর : জিআই স্বীকৃত বিষ্ণুপুরের বালুচরি শিল্পে অভিনব উদ্যোগ নিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন জেলার শিল্পীরা। এবার বিষ্ণুপুরে তৈরি হল ১ লক্ষ টাকা দামের একটি বালুচরি শাড়ি। শাড়িটি বুনেছেন সরকারি প্রশিক্ষণ পাওয়া কুড়িজন তাঁতশিল্পী মিলে। শাড়িটিতে তাঁরা ফুটিয়ে তুলেছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের করম পুজোর বিভিন্ন কাহিনি। শুক্রবার এই শিল্পীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া সফরে এসে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন, তাঁতশিল্পীদের নিয়ে বালুচরি শাড়ির প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করার।

আরও পড়ুন-ইসিএলের অ্যাম্বুল্যান্স আসায় দেরি, রোগীর মৃত্যুতে বিক্ষোভ

এরপর টেকনিক্যাল এডুকেশন ও হ্যান্ডলুম ডিপার্টমেন্ট বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ এবং বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহযোগিতায় বিষ্ণুপুরের কুড়িজন তাঁতশিল্পীকে নিয়ে ৬ মাসের সার্টিফিকেট প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন হয় কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। শিবিরে শেখানো হয় কম্পিউটারে ডিজাইন করে কীভাবে তা শাড়িতে রূপ দেওয়া যায়। প্রশাসনিক আধিকারিকরা মনে করছেন এই প্রথম কোনও কলেজ থেকে স্বীকৃতি পাচ্ছেন তাঁতশিল্পীরা। এই শিবিরে প্রশিক্ষিত কুড়িজন তাঁতশিল্পীর নিরলস পরিশ্রমে ১ লক্ষ টাকা দামের বালুচরি শাড়িটি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, এটি তৈরি করতে তাঁদের টানা দু-মাস সময় লেগেছে। শুক্রবার ৬ মাসের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হলে এই কুড়িজন শিল্পীর হাতে সরকারি সার্টিফিকেট তুলে দিয়ে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, এই ২০ জন শিল্পী বালুচরির আধুনিক ডিজাইন তৈরি শিখে আগামী দিনে স্বনির্ভর হবেন। তাঁদের সহযোগিতা করার জন্য পরোক্ষভাবেও কর্মসংস্থান হবে আরও অনেক মানুষের। উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমাদের দফতরের পক্ষে তা করা হবে। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে খুশি তাঁতশিল্পীরা।

Latest article