প্রতিবেদন : টানা তিনবার এশিয়ান কাপে খেলার লক্ষ্য নিয়ে যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের কাছে আটকে গেল ভারত। স্ট্রাইকারের অভাবে অবসর ভেঙে ন’মাস পর সুনীল ছেত্রী জাতীয় দলে ফিরেছিলেন। ক’দিন আগে শিলংয়ের মাঠেই ফিফা ফ্রেন্ডলিতে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে গোল করেছিলেন সুনীল। লিস্টন কোলাসো, রাহুল ভেকেরাও গোলের দেখা পেয়েছিলেন। কিন্তু হামজা চৌধুরীদের বিরুদ্ধে একই মাঠে চেনা গেল না ভারতকে। সুনীলরা গোল পেলেন না। ভারতও জিততে পারল না। খেলা গোলশূন্য ড্র হল। কিন্তু এই রেজাল্টও হত না শুভাশিস বসু, বিশাল কাইথরা ত্রাতা হয়ে না দাঁড়ালে। প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ালেও সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল। ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করে চাপ বাড়ল ভারতের।
আরও পড়ুন-বার্ধক্যভাতা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন, নবান্ন থেকে লোক এল হাসপাতালেই
ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের থেকে ৫৯ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীকে এনে সুনীলদের হারিয়ে চমক দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওপার বাংলার টাইগারদের। তবু শিলংয়ে সমর্থকদের সামনে অনায়াসে জিতবে ভারত, এই প্রত্যাশাই ছিল। কিন্তু হতাশ করলেন মানোলোর ছেলেরা।
শুরু থেকে ভারতীয় দলকে দেখে মনে হয়নি তারা ঘরের মাঠে খেলছে। চাপ যেন গ্রাস করেছিল তাদের। প্রথম মিনিটেই বড় ভুল করেন গোলকিপার বিশাল। সতীর্থকে পাস বাড়াতে গিয়ে বাংলাদেশের জনি হোসেনের পায়ে বল দিয়ে দেন মোহনবাগানের তারকা কিপার। জনি সরাসরি গোল লক্ষ্য করে শট মারলেও তা নেটের পাশে লাগায় বিপদ হয়নি ভারতের। কিছুক্ষণ পর আবারও ভুল বিশালের। শট মারতে গিয়ে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে মারেন তিনি। ফিরতি বল বক্সের মধ্যে পান রিদয়। কিন্তু তাঁর শট গোললাইন থেকে বাঁচান শুভাশিস।
বাংলাদেশের কোচ সুনীলকে আটকানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন হামজাকে। তাতে অনেকটাই সফল লেস্টার সিটির প্রাক্তনী। তবু ৩০ মিনিটে লিস্টনের ক্রস থেকে ভাল হেড করেন উদান্ত সিং। হেড প্রতিহত হলে ফিরতি বল গোলে রাখতে ব্যর্থ হন ফারুখ চৌধুরী। বিরতির ঠিক আগে বাংলাদেশ সহচেয়ে সহজ সুযোগ পায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দুর্দান্তভাবে বল ক্লিয়ার করেন বিশাল।
আরও পড়ুন-আনন্দধারা প্রকল্পে সঙ্ঘের মেয়েদের নিয়ে বৈঠকে মন্ত্রী
দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয়দের কিছুটা চনমনে দেখিয়েছে। লিস্টন, উদান্তরা দুই উইং দিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন। সুনীলও সুযোগ পেয়েছিলেন। জোড়া সুযোগও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সুনীল একবার বলে-মাথায় সংযোগ ঘটাতে পারেননি। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে সুনীলের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোল পাওয়ার জন্য সুরেশ, মহেশ, ব্রাইসনদের নামিয়ে দেন মানোলো। সুযোগও আসে। কিন্তু সুনীলের হেড বাইরে চলে যায়। ম্যাচের শেষ দিকেও বিশালের বিশ্বস্ত হাত রক্ষা করে ভারতকে। না হলে বড় লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হত।