প্রতিবেদন : বাংলার শিল্প-সম্ভাবনা বাড়ছে। আসছে বিদেশি লগ্নি। শিল্পপতিরা আসছেন। যোগাযোগ বাড়ছে। দেশের ষষ্ঠ ব্যস্ততম কলকাতা বিমানবন্দরে বাড়ছে যাত্রী-সংখ্যা। সেই নিরিখে উড়ান পরিষেবার হার করোনা-পূর্ববর্তী সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর রাজ্য। স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এই মর্মে নবান্নে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান সংস্থা ও ট্রাভেল এজেন্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কলকাতা থেকে এখন দেশ-বিদেশের মধ্যে কতগুলি উড়ান চলাচল করছে, তাতে যাত্রী-সংখ্যা কত, সে-বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। সম্প্রতি কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইমতো বাড়তি উদ্যোগ নিতে রাজ্য সরকার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে। যেসব আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা কলকাতায় আপাতত বন্ধ রয়েছে, সেগুলি ফের চালু করার জন্য বিমান সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলিকে বেশকিছু আকর্ষণীয় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারেও কথা হয় বৈঠকে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স, ক্যাথি প্যাসিফিক, মালিন্দো এয়ার, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কথা বলে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা কলকাতা থেকে চালু করার কথা হয়েছে। যেহেতু দেশের মধ্যে পর্যটন মানচিত্রে কলকাতা বিশেষ জায়গা নিয়ে রেখেছে, তাই বিমানযাত্রীদের কাছেও তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। করোনার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বছরে যাত্রীর গড় ছিল ২ কোটি ২০ লক্ষ। এখন তা আরও বেড়েছে।