রাজ্য সরকার কখনও কারো চাকরি যাক, তা চায় না। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের চক্রান্তে চাকরিহারা ২৫ হাজার ৭৫২ জন। যোগ্য বা অযোগ্য, তালিকা স্পষ্ট করতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট। তাই যোগ্য চাকরিহারাদের মতো অযোগ্য চাকরিহারাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল রাজ্যের প্রশাসন। কারণ অযোগ্য বলে চিহ্নিত যারা তাঁদের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ তা স্পষ্ট করা হয়নি আদালতের তরফে। তাই এবার অযোগ্য চাকরিহারাদের বাস্তব অবস্থান স্পষ্ট করতেও আদালতের দ্বারস্থ হবে রাজ্য সরকার। নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) স্পষ্ট করে দেন রাজ্য প্রশাসন দুটি ধাপে কাজ করবে। তিনি জানান, প্রথম দফা – যোগ্যদেরটা রক্ষা করা। দ্বিতীয় দফা – কাকে অযোগ্য বলেছে, কেন বলেছে, কোন এজেন্সি তদন্ত করেছে, কী কী কাগজ পত্র আছে গোটা বিষয়টা দেখবে। যোগ্য চাকরিহারাদের ধৈর্য ধরার বার্তা এদিনের বৈঠক থেকে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- কাউকে টার্মিনেট করেনি রাজ্য, যোগ্যরা স্কুলে যান, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
শিক্ষকদের সামনে জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পদক্ষেপের গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করতে গিয়ে বলেন, আগে আমাকে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন। তারপরে আমি অন্য কথা বলব। আমি আবার ডাকব। আগে যোগ্যদেরটা ঠিক হয়ে যাক। বাদ বাকি যারা থাকবেন, যাদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ আছে আমি দেখব। সত্যিই যদি তথ্য প্রমাণিত হয় তারা অযোগ্য তাহলে আমার কিছু করার থাকবে না। সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব পরে।
সেখানেই স্পষ্ট সিবিআইয়ের তদন্তে আস্থা নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তাই তাঁদের পেশ করা তথ্য় প্রমাণ যাচাই করবে রাজ্য সরকার। আদালতেও তার স্বচ্ছতা চাওয়া হবে। তবে ইতিমধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিহারারা যাতে বিবাদে জড়িয়ে গোটা প্রক্রিয়া বিঘ্নিত না করে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, নিশ্চিন্তে থাকুন। যোগ্য অযোগ্যদের মধ্যে গণ্ডগোল লাগাবেন না। দুটো পথই স্বচ্ছতা চাইব। দুটো পথই আমাদের কাছে। আইনের ধারা অনুযায়ী কাজ করব। চাকরি করে দেওয়াটা আমাদের ধর্ম।