প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর মোদির নির্বাচনী কেন্দ্রেই যে বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নেই মহিলাদের, অকাট্য প্রমাণ মিলল তার। সত্যি অকল্পনীয় ঘটনা। যোগীরাজ্যের বারাণসীতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী এক তরুণীকে ৭ দিন আটকে রেখে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ করল। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বেনারসের মতো শহরে এমন ভয়াবহ এবং ন্যক্কারজনক ঘটনায় স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ। ঝড় উঠেছে নিন্দার। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয়, এত ভয়ঙ্কর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাও প্রবল গণরোষের চাপে পড়ে। কিন্তু অভিযুক্ত বাকি ১৭ জন? কোথায় তারা? পুলিশ কি আড়াল করার চেষ্টা করছে তাদের?
আরও পড়ুন-দিল্লির রাস্তায় তরুণীকে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? অভিযোগ এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যের ঘটনা। ২৯ মার্চ আচমকাই নিখোঁজ হন ১৯ বছরের ওই তরুণী। বারাণসীর পিশাচমোচন এলাকায় একটি হুক্কাবারে গিয়েছিলেন তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে। তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও হয়। ৪ এপ্রিল খোঁজ পাওয়া যায় তরুণীর। বাড়ি ফিরে সবকিছু খুলে বলেন প্রিয়জনদের। ৬ এপ্রিল লালপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবার। পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দিতে তরুণীটি জানিয়েছেন, পরিচিত এক বন্ধুই হুক্কাবারে নিয়ে যায় তাঁকে। সেখানে ছিল আরও কয়েকজন যুবক। কথাবার্তার মাঝে কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সুযোগেই কেউ একজন তরুণীর সামনে রাখা নরম পানীয়তে মাদকজাতীয় কিছু মিশিয়ে দেন। বেহুঁশ হয়ে পড়েন তিনি। তারপরেই লাগাতার ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
সিগ্রা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। টানা ৭ দিন ধরে তরুণীকে ধর্ষণ করে ২৩ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন নির্যাতিতার পূর্বপরিচিত বলে জানা গিয়েছে। ছিল কয়েকজন সমাজমাধ্যমের বন্ধু এমনকি সহপাঠীও। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। নিয়মিতভাবে তাঁকে ইউ পি কলেজে যেতে হত দৌড় অনুশীলনের জন্য। লালপুর পাণ্ডেপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা ছাত্রীটির বাবা পেশায় গাড়িচালক। অন্য একটি সূত্রের খবর, হুক্কাবার থেকে ফেরার সময় চলন্ত গাড়িতেই ধর্ষণের শিকার হন তরুণীটি।