একতাই শক্তি, মহাবীর জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

বাংলায় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হয় না কারণ এখানে সব ধর্মকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। মহাবীর জয়ন্তীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে একতার বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নাম না করে বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরীর চক্রান্তের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গুলি করে মারলেও একতার পথ থেকে সরব না। বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি হয় না কারণ এখানে সব ধর্মকে সম্মান দেওয়া হয়। সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সমান গুরুত্ব রাজ্য সরকার। বাংলা জানে, একতায় গোটা দেশের শক্তি বাড়ে।

আরও পড়ুন-সংখ্যালঘুদের সংযত থাকতে হবে, রাজনৈতিক প্ররোচনায় পা না দিয়ে বিশ্বাস রাখার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জৈনদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বার্তা দেন, ঐক্য আর সম্প্রীতি থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে, অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। কিন্তু বিভাজন করলে দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন বাংলায় দুর্গাপুজো থেকে ইদ, মহাবীর জয়ন্তী থেকে বড়দিন সব ধর্মের উৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। তিনি বলেন, “আমাকে গুলি করে মারলেও ঐক্যের পর থেকে সরব না।” বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি হিন্দুত্বের ধ্বজা উড়িয়ে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এদিন কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ চাইলে যেমন দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে পারে ঠিক সেভাবেই বড়দিন বা মহাবীর জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করা থেকে বাধা দেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করেছে। সে বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব ধর্মের মানুষ যাতে উৎসব পালন করতে পারেন সেটা দেখেই ছুটির ক্যালেন্ডার করা হয়। তিনি বলেন জৈন ধর্মের অনুষ্ঠানে যেমন তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, ঠিক সেরকমই পয়লা বৈশাখের প্রাক্কালে কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধনেও সব সম্প্রদায়ের মানুষের আমন্ত্রণ রয়েছে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের উন্নয়ন থেকে, সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজি বাড়ির নব কলেবরের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, উদ্বোধনের পর দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পুজোর দায়িত্বে থাকবেন ইসকনের প্রভুপাদরা। মমতা বলেন, ছোটবেলা থেকে বইয়ের পাতায় অনেক জৈন মন্দির সম্পর্কে পড়ার পর তিনিও একাধিকবার পরেশনাথ মন্দিরে গেছেন। আসলে এটাই বাংলার শক্তি যেখানে মনুষ্যত্বের পরিচয়টাই সবথেকে বড়। ধর্ম দিয়ে মানুষের বিচার করা যায় না, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকেই সেই সম্প্রীতির বার্তাই দিলেন মমতা।

Latest article